টিআর আত্মসাত মামলায় শেরপুরের হাতিবান্দা ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

Sherpur pic-1
চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন

শেরপুর থেকে হাকিম বাবুল: ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে এবং কাজ না করেই গম আত্নসাত করেছেেন ইউনিয়ন পরিষদের এক চেয়ার‍্ম্যন। টিআর প্রকল্পের মসজিদ-মাদ্রাসার গম আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিনকে পুলিশ গ্রপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনকে রোব্বার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করলে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

ঝিনাইগাতী থানার ওসি ফসিহুর রহমান চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে টিআর আত্মসাত মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়না থাকা স্বত্বেও দীর্ঘদিন যাবত তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারি ও মারামারি এবং পরিষদের গম আত্মসাতেরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

দুদকের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১-১২ অর্থ বছরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের অধীনে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচি (টিআর) প্রকল্পের আওতায় হাতীবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন তিনটি ভূয়া প্রকল্পের অনুকূলে ৬ দশমিক ২০৯ মেট্রিক টন গম কালোবাজারে বিক্রি করে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ২৯৯ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আর ওই মামলায় প্রত্যক্ষ যোগসাজসের অভিযোগে আসামী করা হয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যানন আমিনুল ইসলাম বাদশাকে। ওই মামলায় আমিনুল ইসলাম বাদশা আদালতে আত্মসমর্পন করে বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন। কিন্তু হাতিবান্দা ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আদালতের নির্ধারিত তারিখে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়।

২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর দুদকের টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন।