পেট্রোলবোমায় গাইবান্ধায় ৬ জনের মৃত্যু, দগ্ধ ৩০

রংপুর থেকে জয়নাল আবেদীন: গাইবান্ধায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোলবোমা হামলায় নারী-শিশুসহ ছয়জন জীবন্ত পুড়ে মারা গেছেন। এ হামলায় আরো ৩০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। মারাত্মক দগ্ধ ২০ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশংকাজনক।

বাসের যাত্রীরা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে তারা গাইবান্ধা থেকে নাপু এন্টারপ্রাইজ নামের একটি নৈশকোচে ঢাকা যাচ্ছিলেন। এ বাসটিসহ অন্যান্য যানবাহনকে পুলিশ পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। রাত ১১ টার দিকে বাসটি গাইবান্ধার তুলসীঘাট এলাকায় পৌছলে দুবৃর্ত্তরা বাসটি লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে। এতে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।

বাসের মধ্যেই চারজন জীবন্ত পুড়ে মারা যান। তাঁরা হলেন সৈয়দ আলী (৪২), হালিমা বেগম (৪০), সুমন মিয়া (২২) ও শিল্পী রানী (১০)। হাসপাতালে ভর্তির পর আরো দুজন মারা যান।

যাত্রীদের সকলের বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডীপুর ও কামারের ভিটা গ্রামে। হতদরিদ্র এসব মানুষ কাজের সন্ধানে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।

unnamed
গাইবান্ধায় দগ্ধ ৩০ জনকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশের সহায়তায় পাঁচটি এ্যাম্বুলেন্সে করে আজ শনিবার ভোর সাড়ে চারটা পর্যন্ত আগুনে পুড়ে যাওয়া ২০ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের আর্তনাদে এ সময় হাসপাতালের বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।

হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা সোনাভান বেগম ও তাঁর শিশুপুত্র সুমনকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করা হয়েছে। আশংকাজনক আটজনের শরীরের ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. মারুফুল ইসলাম জানান অগ্নিদগ্ধ যাত্রীদের মধ্যে আটজনের শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে যাওয়ায় তাদের অবস্থা খুবই আশংকাজনক। এ ছাড়া অন্যান্যদেরও শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে।