হাকালুকি হাওর রামসার সাইট ও হাওর উন্নয়ন মহাপরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত

মৌলভীবাজার থেকে আজিজুল ইসলাম: এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকিকে রামসার সাইট ও হাওর উন্নয়ন মহাপরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শনিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) কুলাউড়া জনমিলন কেন্দ্রে পরিবেশ অধিদফতরের সিবিএ-ইসিএ প্রকল্পের আয়োজনে জীববৈচিত্র্য সম্পদ ব্যবস্থাপনায় বিকল্প কর্মসংস্থান সহায়তা আলোচনা ও ক্ষুদ্র ঋণ অনুদান বিতরণী অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

kulaura picture- Hakaluki Haor onudan
অতিথি হাকালুকি হাওর সংরক্ষণের জন্য নিয়োজিত ২৮টি (ভিসিজি) দলের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকার ঋণ অনুদান প্রদান করেন

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পরিবেশ অধিদফতরের অতিরিক্ত সচিব ও সিবিএ-ইসিএ’র প্রকল্প পরিচালক মো. রইছউল আলম মণ্ডল ও বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পরিবেশ অধিদফতরের ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অফিসার ড. সুলতান আহমদ। বক্তারা বলেন, হাওর উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিকল্পনায় রয়েছে হাকালুকি হাওর। তাছাড়া এই হাওরকে রামসার সাইট (বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ এবং পরিবেশগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল) ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের।

তারা বলেন, সরকারের অনেক মন্ত্রণালয় থাকতে হয়তো প্রশ্ন জাগবে পরিবেশ অধিদফতর কেন হাকালুকি হাওর উন্নয়নের জন্য এসেছে। এর মূল কারণ পরিবেশটা সবার জন্য দরকার। এটাকে সংরক্ষণ করতে সবাই আন্তরিকভাবে আগ্রহী। এই হাওর পাড়ের মানুষকে মূলত সচেতন করতেই পরিবেশ অধিদফতর এই দায়িত্বটুকু নিয়েছে। বাকিটা এই হাওর পাড়ের মানুষই এগিয়ে নিয়ে যাবে।

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীরের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ারুল ইসলাম, জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দিন শেখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিবেশ অধিদফতরের সিলেটের পরিচালক মো: সালাউদ্দিন চৌধুরী। সাংবাদিক কল্যাণ প্রসুন, হাওরের ভিসিজি কমিটির পক্ষে বক্তব্য রাখেন যুদিষ্টিপুর ভিসিজির দলনেতা চেমন আরা বেগম, বেলাগাও ভিসিজির দলনেতা আলী আহমদ, সোনাপুর ভিসিজির দলনেতা মো. ইসমাইল হোসেন, জুড়ী ভিসিজির দলনেতা মহরম আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা ইমরান আহমদ।

অতিথি আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবেশ অধিদফতরের হাকালুকি হাওর সংরক্ষণের জন্য নিয়োজিত ২৮টি (ভিসিজি) দলের মধ্যে প্রত্যেকটি দলকে ১ লাখ টাকার ঋণ অনুদান প্রদান করেন।