গোপালগঞ্জ থেকে হায়দার হোেেসন: বিএনপি জামায়াত বোমাবাজ, গ্রামে গ্রামে কমিটি করে তাদের আটক করতে হবে। খালেদা জিয়া ডাইনি মা। নিজের সন্তানের জন্য কোনো মায়া ছিল না, দেশের জন্যও তার কোনো মায়া নেই। দেশের জন্য মায়া থাকলে আগুনে পোড়া সন্তানদের প্রতিও তার মায়া হতো। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, গোপালগঞ্জ ১ আসনের সাংসদ মুহাম্মদ ফারুক খান মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মীসমাবেশে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন বিএনপি জামাত আওয়ামী লীগের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে আছে। তাদের চিহিৃত করতে হবে। তাদের ধরিয়ে দিতে হবে। তাদের শাস্তি না দিলে দেশের মানুষ বাঁচবে না।
মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, এখনই আওয়ামী লীগের নেতেৃত্বে দেশবাসীকে সজাগ হতে হবে। তা না হলে বিএনপি জামাত বাংলাদেশেটাকে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান বানিয়ে ফেলবে। তিনি আরও বলেন, ৭১ সালে তারা দেশের বিরোধীতা করেছে। স্বাধীন হওয়ার পরে দেশ যখন সমৃদ্ধির দিকে আসছিল তখন বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে খুন করেছে। বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতেৃত্বে দেশ যখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে, সারা দেশে উন্নয়ন হচ্ছে তখন তারা আগুন দিয়ে পেট্রোল দিয়ে সাধারণ মানুষ পুড়িয়ে মারছে। বাংলার মানুষ একত্রিত হয়ে বোমাবাজদের প্রতিহত করতে হবে।
মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি মুকসুদপুর কাশিয়ানি এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়ন, গ্রাম পরিদর্শন, পথসভা, গ্রাম পল্লী বিদ্যুতায়ন, কর্মিসভা, উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা, দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশে এসব কথা বলেন।
এসময় তার সাথে ছিলেন জাতীয় সংসদের নারী আসনের সাংসদ ও আওয়মী সেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নারী বিষয়ক সম্পাদক এ্যাভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল এমপি। তিনিও সকল সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। এ্যাডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল বলেন, বিএনপি জামাত দেশের শত্রু। তারা জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করে দেশেকে পিছিয়ে রেখেছিল। এখন শেখ হাসিনার নেতেৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। আর তখনি তারা দশের মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। এটা আর হতে দেয়া যায় না।
মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে ওই সকল সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি আশরাফ আলী আশু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহ আকরাম হোসেন জাফর, যুগ্ম সম্পাদক রবিউল আলম শিকদার, প্রচার সম্পাদক কাজী ওহিদুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুল আলম নিজাম, দেলোয়ার হোসেন দুলাল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল খায়ের টেপু, শ্যামল কান্তি বোস প্রমুখ। এসময় সরকারি দলের নেতা কর্মী ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু: খায়রুজ্জামান, অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমান, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম রেজায়েত আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।