শেরপুর থেকে এম. সুরুজ্জামান: শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রমজান আলী (৪২) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক খুন হয়েছেন। তিনি নয়াবিল ইউনিয়নের দাওধারা কাটাবাড়ীপাড়া গ্রামের মৃত ওমেদ আলীর ছেলে এবং উপজেলার চিনামার দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে নিজ গ্রামে এ খুনের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত তিন জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, নিহত রমজান আলীর বড় ভাই নুর আলী (৬০), বোন শামছুন্নাহার (৪৫) একি গ্রামের শাহ আলীর ছেলে জয়ফল মিয়া (২৫)। এদের মধ্যে নুর আলী ও জয়ফলের অবস্থা আশংকাজনক। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দাওধারা কাটাবাড়ীপাড়া গ্রামের শাহা আলী, নজরুল ইসলাম, বকুল মিয়া, আব্দুল আজিজদের সাথে নিহত রমজান আলীর বাগানের কাঠ কাটাকে কেন্দ্র করে গত এক বছর যাবত বিরোধ চলে আসছিল। এবিরোধ মিমাংসার জন্য বেশ কয়েকবার সালিশ হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। অবশেষে বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে শাহা আলীর ছেলে জয়ফল মিয়ার (২৫) নুর আলীর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জয়ফল মিয়াকে নুর আলী ও নিহত রমজান আলী মারধর করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই জয়ফলের পিতা শাহা আলী ও বকুল মিয়ার নেতুত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল রমজান আলী ও নুর আলী এবং তাদের বোন শামছুন্নাহারকে কুপিয়ে গুরতর আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রমজান আলীকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসী জানায়, রমজান ও তার দুই সহোদর নুরুল আমীন এবং রহুল আমীন বিভিন্ন সময় এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে নিরীহ মানুষকে অত্যাচার করে আসছিল। এর আগেও রমজান আলী ও তার দুই সহোদরের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরিত এক আবেদন পুলিশ সুপার বরাবর দেওয়া হয়।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আমিনুল হক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে ও হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানান।