রাজশাহী থেকে কাজী শাহেদ: বিদ্যুতের আলো বঞ্চিত চরাঞ্চলের মানুষ। কোথাও কোথাও সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলেও তা নগণ্য। তবে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে এবার জ্বলবে বিদ্যুতের আলো। এজন্য সেখানে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
আগামী ছয় মাসের মধ্যে চরের এক হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা উদ্যেক্তাদের। পরবর্তীতে পুরো ইউনিয়নকেই বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করার পরিকল্পনাও আছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার।
পদ্মা নদীর ওপারে ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন ওই ইউনিয়নটিতে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছেনি। তাই উন্নয়নের কোনো ছোঁয়াও লাগেনি সেখানে। কৃষিকাজের পুরোটাই জ্বালানি তেল নির্ভর। তবে ইউনিয়নে বসবাসকারীদের মধ্যে যাদের অর্থনৈতিক ভিত একটু মজবুত তাদের বাড়িতে আছে সৌরবিদ্যুৎ। ফলে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে অর্থ মন্ত্রণালয় চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন নতুন গ্রাম এলাকায় ১৪৮ দশমিক ৫ কিলোওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। গত ১০ জানুয়ারি থেকে আভা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি নামের একটি সংস্থা প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে।
আভা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সিনিয়র ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মেজবাহ-উল-হক জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬২ হাজার টাকা। সৌরশক্তি ও জ্বালানি তেল ব্যবহার করে সেখানে প্রতিদিন ১৪৮ দশমিক ৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। দিনের বেলায় সৌরশক্তি ও রাতে জ্বালানি তেল ব্যবহারের মাধ্যমে যা দিয়ে প্রাথমিকভাবে চরের ৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলাকার এক হাজার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
আভা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির এলাকা ব্যবস্থাপক মিল্লাত হোসেন জানান, বিশ্বব্যাংক অর্থ বরাদ্দের পর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় দীর্ঘদিন ধরে সৌরবিদ্যুৎ নিয়ে কাজ করা ইডকল নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে ইডকল তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসাবে আভা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটিকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়। খুব শিগগিরই তারা চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের এক হাজার বাড়ি বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করতে পারবেন বলেও আশা করেন তিনি।