ঝিনাইদহ থেকে জাহিদুর রহমান: বাবার স্বপ্ন ছিল তার ছেলে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে চাকুির করবে। ক্যাডেট কলেজে লেখাপড়া শিখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে বড় অফিসার পদে চাকুির করবে।
এদিকে মেধাবী ছাত্র আল আমিনের মন পড়ে থাকে সারাক্ষণ খেলার মাঠে। ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হতে না পারলেও আজ সে দেশের জন্য অনেক বড় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। ঝিনাইদহের ছেলে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত খেলোয়াড় আল-আমিন এখন শুধু তার বাবা মা কিংবা পরিবারের সদস্যই নয়, ঝিনাইদহ জেলার ২০ লাখ লোকের গর্ব।
এই আল-আমিন যখন জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত হয়, সেদিন তার মাকে গলা জড়িয়ে ধরে আনান্দে কেঁদে ছিল। সেই দিনকার সেই স্মৃতি এখনো ধরে রেখেছে আল-আমিনের বাবা মো. শাহ আলম ও মা মনোয়ার বেগম।
১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের সাথে বিশ্বকাপ খেলা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছেন আল-আমিনের বাবা-মাসহ ঝিনাইদহবাসী। সরেজমিনে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় আনন্দময় পরিবেশ। আল-আমিন অষ্টেলিয়া- নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ায় এই আনন্দ।
আল-আমিনের পিতা বলেন, স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন ম্যাচে ভাল খেলায় আমি তাকে কখনো খেলাতে বাধা দেয়নি। পরবর্তীতে যখন সে জাতীয় ক্রিকেটার হিসাবে দলে অন্তর্ভুক্ত হয় তখন আরও উৎসাহ পায়। তিনি আল-আমিনের জন্য সারাদেশের মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছেন, যাতে সে বিশ্বকাপে ভাল বোলিং করতে পারে।