শেরপুর থেকে রেজাউল করিম: শেরপুরের শ্রীবরদীতে দেড় বছর বয়সের ছেলেকে গলাকেটে হত্যার পর মা সূর্যমণী (২৫) গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। রোববার বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে পৌর শহরের কলাকান্দা মহল্লায় বসত ঘরে এ ঘটনার পর শ্বাশুরি মোর্শেদা বেগমকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার মা ও ছেলের মৃতদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার উপ-পরিদর্শক বশির আহমেদ বাদল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে এ ঘটনার পর থেকে সূর্যমণীর স্বামীসহ পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কলাকান্দা মহল্লার মোটর মেকানিকস বিপ্লব মিয়ার স্ত্রী সূর্যমণী পারিবারিক কলহের জের ধরে বসত ঘরের দরজা বন্ধ করে ধারালো বটি দিয়ে দেড় বছর বয়সের ছেলে সীমান্তকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে। পরে নিজে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। বাড়ির লোকজন ঘরের দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হলে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় ছেলেকে মেঝেতে রক্তাক্ত ও মাকে আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
বিপ্লব মিয়া জানায়, ওইদিন তার মায়ের সাথে তার স্ত্রীর কথা কাটাকাটি হয়। সে বিকালে সংবাদ পায় তার স্ত্রী ও সন্তান খুন হয়েছে। উপজেলার ভায়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা কডা মিয়ার মেয়ে সূর্যমণী। কডা মিয়া জানান, প্রায় তিন বছর আগে সূর্যমণীর সাথে বিপ্লব মিয়ার বিয়ে হয়। কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এর জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে। উপ-পরিদর্শক বশির আহমেদ বাদল জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আলামত হিসেবে একটি ধারালো বটি উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে সূর্যমণীর শ্বাশুরি মোর্শেদা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত অব্যহত রয়েছে।