মৌলভীবাজার থেকে আজিজুল ইসলাম: এশিয়ার বৃহত্তম হ্ওার হাকালুকিতে দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত পাখি শুমারিতে এবার পাখির সংখ্যা কম পাওয়া গেছে। তবে পাখি শুমারিকালে হাওরে বিষটোপে মরা পাখি দেখতে পেয়েছেন বার্ড ক্লাবের সদস্যরা।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক, তাঁর ক্লাবের সদস্য এবং দেশী বিদেশী পাখি বিশেষজ্ঞবৃন্দ দু’দিনের শুমারিতে অংশ নেন। ১৬ এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের ১৮ সদস্য হাকালুকি হাওরের ২৩৮টি বিলের মধ্যে ৩৩টি বিলে পাখিশুমারি চালায়। এতে মোট ৫৬ প্রজাতির ২১ হাজার ৬৩১টি জলচর পাখি দেখা গেছে, যা গত বছরের তুলনায় কম। গত বছর এই হাওরে ৬০ প্রজাতির ২৩ হাজার ৪২টি পাখি দেখা যায়।
সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পাখি দেখা গেছে ৫টি বিলে। এরমধ্যে চাতলা বিলে ৪ হাজার ১৭৮, চকিয়া বিলে ২হাজার ১৩২, পিংলা বিলে ২ হাজার ৬৩, কৈয়ারকোণা বিলে ১ হাজার ৪৮৩ এবং হাওয়াবন্যা বিলে ১ হাজার ১০৮টি পাখি দেখা যায়।
সবচেয়ে বেশি যে ৫ প্রজাতির পাখি দেখা গেছে সেগুলো হচ্ছে শামখোল ৪ হাজার ৯২৮, ছোট পানকৌড়ি ১ হাজার ৯৪৭, পিয়াং হাঁস ১ হাজার ৬৯৯, মরচে রঙ ভুতিহাঁস ১হাজার ৫৪৯ এবং পাতি কুট ১ হাজার ৪৮০টি।
এছাড়া উল্লেখযোগ্য পাখি দেখা গেছে কালাঘাড় মানিকজোড় ১টি, খয়রা কাস্তেচরা ২৭টি, ফুলুরি হাঁস ৪টি, প্রশান্ত সোনাজিরিয়া ৩৬৬টি এবং উত্তুরে টিটি ২৪।
বুধবার থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাকালুকি হাওরে (নাগুয়া লরিবাই বিলের পার্শ্ববর্তী এলাকাতে) আসা পরিযায়ি পাখিদের পায়ে রিং লাগানো হবে। এই রিংয়ের মাধ্যমে পাখিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে।