খুলনায় শান্তিপূর্ণ হরতাল, গ্রেফতার ২৮, ঠাণ্ডা মাথায় হত্যার অভিযোগ বিএনপি নেতাদের

খুলনা থেকে প্রতিনিধি: চলতি সপ্তাহের বর্ধিত হরতালের শেষ দিন খুলনায় শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। হরতাল চলাকালে নগরীতে তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনী ছিল কঠোর অবস্থানে। পুলিশের তল্লাশী ও অভিযানের কারণে ২০দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের অনেকে বাড়ি বাড়ি ছাড়া।

নগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো ক্লাস হয়নি। বিচ্ছিন্নভাবে নগরীতে দু’একটি ভারী যানবাহন চলেছে। তবে দূরপাল্লার কোনো পরিবহন ছেড়ে যায়নি।

অপরদিকে কেএমপি জানিয়েছে, খুলনায় পুলিশের নিয়মিত অভিযানে ২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় মহানগরীর ৮ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে প্রতেকে বিভিন্ন মামলার আসামি।

যৌথ বাহিনী ঠান্ডা মাথায় হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ বিএনপির নেতৃবৃন্দের
যশোরের মনিরামপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতারের পর দুই বিএনপি কর্মীকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ও খুলনা বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ। একে ঠাণ্ডা মাথার হত্যাকাণ্ড দাবি করে অবিলম্বে মানবাধিকার লংঘনের সকল ঘটনা বন্ধ করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, এ সব হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদেরকে খুব শিগগিরই বিচারের সম্মুখিন হতে হবে। অবৈধ ফ্যাসিষ্ট শাসকের দুঃশাসনের অবসান ঘটলেই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তাদেরকে দণ্ডিত হতে হবে।

বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, যৌথ বাহিনী মনিরামপুরের জয়পুর গ্রামের একটি চায়ের দোকান থেকে ৬ বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতার করে। রাতে গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সদস্যরা তাদের সাথে সাক্ষাৎ করে রাতের খাবার দেয়। এরপর গভীর রাতে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানের নামে বজলুর রহমান ও আবু সাঈদকে ঠা-া মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। এর আগেও খুলনা বিভাগে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদেরকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি গ্রেফতারের পর ট্রাকের তলে ফেলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে প্রচার করা হয়েছে, পুলিশের গাড়ি থেকে পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় তারা মারা গেছে।

বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাজিদুল ইসলাম, কুষ্টিয়া বিএনপি সভাপতি সৈয়দ হাসান মেহেদী রুমী, যশোরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল হুদা, মাগুরার সভাপতি কবির মুরাদ, মেহেরপুরের সভাপতি মাসুদ অরুণ, বাগেরহাটের সভাপতি এম এ সালাম, নড়াইলের সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর হোসেন, চুয়াডাঙ্গার সভাপতি বুলা, খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক কেসিসির মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, খুলনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. এস এম শফিকুল আলম মনা, যশোরের সাধারণ সম্পাদক সাবেরুল হক সাবু, বাগেরহাটের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা বাবু, মাগুরার আলী আহমেদ, মেহেরপুরের আমজাদ হোসেন, নড়াইলের আব্দুল কাদের বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গার খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা।