বরিশাল থেকে এম.মিরাজ হোসাইন: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বজনদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫জন আহত হয়েছে। এসময় রোগীর বিক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতালের চেয়ার, টেবিল ও বেশ কয়েকটি জানালা ভাঙচুর করে।
বুধবার রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের চতুর্থ তলার মহিলা ওয়ার্ডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে রোগীর দুই স্বজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন, মৃতের মামা আব্দুস সালাম (৪০) ও আব্বাস উদ্দিন (৪৫)।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বরিশাল নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইছাকাঠি এলাকার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী আফরোজা আক্তার হৃদরোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্য হাসাপাতালে নিয়ে আসা হয়। বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় তাকে জরুরি বিভাগে ভর্তি দেখিয়ে ৪তলার মহিলা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বরত ডাক্তার ছিলেন (আইএমও) ইমরান, সাদি, মহিউদ্দিন, সাকিব, সাহারিয়ার ও তোহা।
রোগীর স্বজন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ হোসেন অভিযোগ করেন, ভর্তি রোগীকে ওয়ার্ডে নিয়ে আসার পরে একাধিকবার দায়িত্বরত ডাক্তারদের খবর দেওয়া হলেও তারা আসেননি। পরে রাত ৭টার দিকে তারা গিয়ে পরীক্ষা করে রোগীকে মৃত্যু ঘোষণা করলে উত্তেজিত স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালের আসবাবপত্রে হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ডাক্তাররাও স্বজনদের ওপর হামলা চালালে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। প্রায় ১ঘন্টা ধরে চলা সংঘর্ষে রোগীর ৫স্বজন আহত হলে তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
তবে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাখায়াত হোসেন জানান, উত্তাপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে দুই জনকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এদিকে, আফরোজা আক্তারের মৃতদেহটি দাফনের জন্য স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে জানিয়েছে হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম।