গোপালগঞ্জ থেকে হায়দার হোসেন: গোপালগঞ্জের মাঝিগাতীতে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার সন্দেহে ৭জনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে ও শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার মাঝিগাতী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন মোল্যা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ সদরের মাঝিগাতী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোকসুদ আলী খান ও সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মুকুল খানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ৭দিন আগে সাবেক চেয়ারম্যান মুকুল খানের লোকজন ডালনিয়া ব্রীজের কাছে প্রতিপক্ষ বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থক মীর খসরুল ইসলামকে মেরে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়। এ ঘটনার পরদিন সকালে বর্তমান চেয়ারম্যানের আরেক সমর্থক ইকতিয়ার মীরের স্ত্রীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় বর্তমান চেয়ারম্যানের শতাধিক সমর্থক মাঝিগাতী কাঁচাবাজারের পাশে প্রতিপক্ষ ইব্রাহীম মোল¬ার উপর হামলা করে।
এ সময় তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষের লোকজন রাম দা, ঢাল-শরকি ও লাঠি-সোটাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় সংঘর্ষ গোটা ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫জন আহত হয়। এরমধ্যে গুরুতর আহত ইসহাক খান (৪৫) ও মীর ফখরুল আলমকে (৪৩) খুলনা মেডিকেল কলেজ এবং সফিকুল সিকদার (২৪), মোঃ ইকবার আলী (৪৫), আরোজ খান (৫৪), ইব্রাহীম মোল্য¬া (৩৮), ঠান্ডা মোল্যা (৩০), লাবলু খান (৫৫), সাহেব আলী কাজী (৪৫), ইমরান সিকদার (৩৫) ও কালাম মোল্যাকে (২৭) গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতরা গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ টিয়ার শেল ও রবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সংঘর্ষের সাথে জড়িত সন্দেহে ৭ জনকে আটক করে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।