জব্বারের অপরাধ মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার যোগ্য, বয়স বিবেচনায় আমৃত্যু কারাদণ্ড

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ পলাতক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারকে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। হত্যা-গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্মান্তরিতকরণ এবং বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের পাঁচটি অভিযোগের সবগুলোই প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এ দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

আবদুল জব্বার একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার যোগ্য মানবতাবিরোধী অপরাধ করলেও বয়স বিবেচনায় তাঁকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে বলে মামলার রায়ে উল্লেখ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মঙ্গলবার এ রায় দেন।
জব্বারের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম শেষ হয় গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ।

জব্বারের বিরুদ্ধে গঠন করা পাঁচটি অভিযোগের সবই প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ১, ২, ৩ ও ৫ নম্বর অভিযোগে তাঁকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১। ৪ নম্বর অভিযোগে তাঁকে ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ছিলেন।

পলাতক ঘোষণা করে গত বছরের ১৪ আগস্ট জব্বারের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ গঠন করা হয় এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচার শুরু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে ২৪ জন সাক্ষ্য দেন। জব্বারের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবুল হাসান।