ঝিনাইদহ থেকে জাহিদুর রহমান: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজারের নিকট গলাকাটা লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। উদ্ধারকৃত লাশটি শৈলকুপার ব্রাহিমপুর গ্রামের মহিদুল ইসলামের একমাত্র ছেলে রব্বিল আলামিন চমকের (১৮)। চমক মাগুরা পলিটেকনিকের (ইলেক্ট্রনিকস) প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। নিহতের মামা রুবেল হোসেন জানান, আমার ভাগ্নে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে নতুন বাইসাইকেল নিয়ে মাগুরার কলেজ ক্যাস্পাসে চলে যায়। আমরা ভাবতেই পারিনি চমক লাশ হয়ে ফিরবে। এ কারণে লাশ সনাক্ত করতে দেরি হয়েছে। তিনি আরও জানান, আমরা যখন ওর মোবাইল বন্ধ পাই, শুক্রবার রাতে খোঁজ খবর করতে গিয়ে জানতে পারি চমককে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে।
এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে ভাটই কলেজের দক্ষিণ পাশে কলার ক্ষেত থেকে একটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু রাত অবধি তার পরিচয় মেলেনি। এ ঘটনা নিয়ে নিহতের পিতা মহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে ২১ ফ্রেব্রয়ারি সুরাইয়া সুলতানা সেতুর বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় মামলা করেন। পুলিশ সেতুকে গ্রেফতার করেছে। মালিপাড়া গ্রামের সেতু ঝিনাইদহের নোভেল পলিটেকনিকের ছাত্রী। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ হাসেম খান জানান, সেতুর সাথে চমক এবং অন্য একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একে কেন্দ্র করে চমককে হত্যা করা হতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে। এদিকে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে নির্বাক চমকের মা বাবা ও একমাত্র বোন চুমকি।