বাগেরহাট থেকে বাবুল সরদার: পূর্ব সুন্দরবনে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ‘সাগর-সৈকত বাহিনীর’ তিন দস্যু নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে শরণখোলা রেঞ্জের চাঁন্দেরস্বর ফরেস্ট ক্যাম্প সংলগ্ন কাতলার খাল এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সাদ্দাম (২৯), সোহেল (২৫) ও অজ্ঞাতনামা (২৫)। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১২টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ৫৫ রাউন্ড তাজা গুলি ও দস্যুদের ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে বলে র্যাব ৮ এর অধিনায়ক কর্নেল ফরিদুল আলম জানিয়েছেন। অপরদিকে, এ ঘটনায় বনজীবীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তারা দস্যুদমন অভিযান আরও জোরদারের আবেদন জানান।
র্যাব সদর দফতর মিডিয়া ইউংয়ের সহকারী পরিচালক মাকসুদুল আলম ও র্যাব ৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সুন্দরবনের ওই এলাকায় দস্যুরা অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সেখানে অভিযান চালায়। এসময় তারা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে প্রায় আধ ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ হয়। একপর্যায়ে দস্যুরা পালিয়ে গেলে র্যাব সদস্যরা বনের ভেতরে অভিযান চালিয়ে তিনজনের মৃতদেহ, ১২টি দেশি-বিদেশি অস্ত্র, ৫৫ রাউন্ড তাজা গুলি ও দস্যুদের ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি-সহ সাগর-সৈকত বাহিনীর টোকেন (চাঁদা আদায়ের রসিদ) উদ্ধার করে।
নিহত তিন বনদস্যুর মধ্যে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার সাদ্দাম (২৯) ও সোহেল (২৫) নামের দুই দস্যুর নাম জানা গেলেও অপর দস্যুর নাম জানা যায়নি। বন্দুকযুদ্ধে নিহত অজ্ঞাতপরিচয়ের অপর দস্যুর বয়স আনুমানিক ২৫ বছর বলে র্যাব জানিয়েছে।
স্থানীয় জেলেরা জানান, সাগর-সৈকত বাহিনীর সদস্যরা কয়েক বছর ধরে সুন্দরবনে জেলে-বাওয়ালিদের অপরহণ করে মুক্তিপণ আদায় ও জেলেদের ট্রলারে ডাকাতি করে জাল ও মাছ লুট করে আসছিল। বাগেরহাটের শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল কবির জানান, বন্দুকযুদ্ধের ব্যাপারে র্যাবের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গুলি, রসদ ও সরঞ্জামাদি থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে।