হার্ডিঞ্জ সেতু এখনও চিরযৌবনা, ৪ মার্চ শতবর্ষ পূর্তি

ঈশ্বরদী (পাবনা)  থেকে স্বপন কুমার কুন্ডু: একশত বছর পার করেও হার্ডিঞ্জ সেতুর গায়ে এখনও বার্ধক্যের ছাপ পড়েনি। ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ সেতু উদ্বোধনকালে সেতু প্রল্পের প্রধান প্রকৌশলী স্যার রবার্ট উইলিয়াম গেলস্ আবেগভরে জনতার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘যে সেতু নির্মাণ করে গেলাম, উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে এ সেতু চির যৌবনা হয়ে থাকবে।’ হার্ডিঞ্জ সেতুর শতবর্ষ পূর্তি উদ্যাপন পরিষদের আহব্বায়ক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ স্যার রবার্ট উইলিয়াম গেলস-এর এই উক্তিটি উল্লেখ করে বলেন, কথাটি যে কতখানি সত্য তার প্রমাণ শতবর্ষেও সেতুর গায়ে বার্ধক্যের ছাপ পড়েনি।

harding bridge pabna
শতবর্ষে হার্ডিঞ্জ সেতু

রবিবার ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে ঐতিহ্যবাহী হার্ডিঞ্জ সেতুর শতবর্ষ পূর্তি উদ্যাপন পরিষদের আহব্বায়ক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠি, খেলাঘর ও স্পন্দন নামের একটি সংগঠন সম্মিলিতভাবে ৪ঠা মার্চ হার্ডিঞ্জ সেতুর পাদদেশে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। পাকশী বিভাগীয় ও রাজশাহীর পশ্চিমাঞ্চল রেল কর্তৃপক্ষকে শতবর্ষ পূর্তি উদ্যপনের আহব্বান জানানো হলেও তারা কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম এবং বাংলাদেশের গর্ব আমাদের হার্ডিঞ্জ সেতু শতবর্ষে পা রাখতে যাচ্ছে, তা স্মরণীয় করে রাখার দায়বদ্ধতা এদেশের সকল নাগরিকের। রেল কর্তৃপক্ষ এ দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যেতে পারেন না। সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তুতি পরিষদের উপদেষ্টা সাংবাদিক আলাউদ্দিন আহম্মেদ, মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফান্টু, সদস্য সচিব অধ্যাপক হাসানুজ্জামান, উদীচীর আব্দুল হাই চৌধুরী সঞ্জু, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এস ফজলুর রহমানসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।