ঈশ্বরদী (পাবনা) থেকে স্বপন কুমার কুন্ডু: সরকারি উদ্যোগ ও রেল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা ছাড়াই ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ সেতুর শতবর্ষ পূর্তি উৎসব স্থানীয় নাগরিকদের উৎসাহ-উদ্দীপনায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে।
চির যৌবনা এই সেতুর শতবর্ষ পূর্তি উৎসবে এলাকার জনগণের সরব উপস্থিতিতে ব্রিজের পাদদেশ বুধবার মিলন মেলায় পরিণত হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শত বেলুন উত্তোলন, কেক কাটা ও মোমবাতি প্রজ্জলনের মাধ্যমে উৎসবের সূচনা হয়।
উদ্যাপন পরিষদের আহব্বায়ক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, প্রধান অতিথি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য আজিজুর রহমান শরীফ, প্রবীণ শ্রমিক নেতা কমরেড জসীম উদ্দিন মন্ডল, অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিুল্লাহ, অধ্যাপক উদয় নাথ লাহিড়ী, শ্রমিক নেতা কে এম রশীদুল্লাহ, উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাহজেবীন শিরিন পিয়া, অধ্যাপক হাসানুজ্জামান, অফিসার ইনচার্জ বিমান কুমার দাস, যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। বক্তব্যের মাঝে মাঝে অনুষ্ঠিত হয় নাচ ও গান।
বক্তারা বলেন, এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম এবং বাংলাদেশের গর্ব আমাদের হার্ডিঞ্জ সেতু শতবর্ষে পা রাখতে যাচ্ছে, তা স্মরণীয় করে রাখার দায়বদ্ধতা এদেশের সকল নাগরিকের। রেল কর্তৃপক্ষ এ দায়বদ্ধতা এড়িয়ে গেলেও স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ প্রমাণ করেছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকাবাসী তথা দেশের মানুষের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এসময় নাগরিক মঞ্চ ঈশ্বরদীর পক্ষ হতে পাকশীকে পর্যটন নগরী হিসেবে ঘোষণার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানানো হয়। উদীচী শিল্পী গোষ্ঠি, খেলাঘর ও স্পন্দন নামের একটি সংগঠনের সম্মিলিত আয়োজনে এই অনুষ্ঠান এলাকাবাসীর হৃদয়কে জয় করেছে।