নবরিশাল থেকে এম.মিরাজ হোসাইন: বরিশাল নগরীর কাউনিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. ওয়ারেছের (৪২) নির্যাতনের শিকার অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্ত্রী হাবিবা আক্তারকে (১৬) তালাবদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার কররেছে মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার নগরীর কাউনিয়া থানা সংলগ্ন ভাড়াটে বাসার নীচতলা থেকে হাবিবাকে তারা উদ্ধার করেন। এ ব্যাপারে নগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. জিল্লুর রহমান জানান, হাবিবার অভিযোগ তারা শুনেছেন এবং আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন।
হাবিবার মা মাহফুজা বেগম বলেন, দেড় বছর আগে বন্দরথানাধীন রাজারব্রীজ সংলগ্ন তার গ্রামের বাড়িতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে তদন্তে যান এসআই ওয়ারেছ। তখন তার কন্যা বরিশাল নগরীর শের-ই-বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। এ সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে হাবিবাকে বিয়ে করেন। তিনি আরো জানান, বিয়ের পর থেকেই তার কন্যাকে শারিরিক নির্যাতন করতেন এসআই ওয়ারেছ। বিষয়টি তিনি মহিলা আইনজীবী সমিতিকে জানালে বৃহস্পতিবার দুপুরে কাউনিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় হাবিবাকে ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন।
এ সময় উপস্থিত সংবাদকর্মীদের কাছে হাবিবা স্বীকার করেন তাকে হাত পা বেঁধে মারপিট করেন এসআই ওয়ারেছ। সে আরো জানায় ওয়ারেছের গ্রামের বাড়ি রংপুর জেলা সদরের সাতচত্ত্বর স্টেশন রোডে। সে ১৯৯৪ সালে পুলিশের কনস্টবল পদে চাকুরি নেয়। ওই বছরই বিয়ে করে। তার প্রথম স্ত্রী আসমা বেগমের ঘরে তিন পুত্র সন্তান রয়েছে। এরপরও বছর দুয়েক আগে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদে এক কন্যার বিয়ে নিয়ে ঝামেলা হলে এসআই ওয়ারেছ নিজেই সে মেয়েকে বিয়ে করে এবং ৬ মাস পর তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। এরপরই হাবিবাকে বিয়ে করে।
এ বিষয়ে এসআই ওয়ারেছ বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। আর বিষয়টি তার পরিবারিক। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটারদিকে কাউনিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) তদন্ত মো. সেলিম রেজা বলেন, এ ঘটনায় মিমাংসার চেষ্টা করছেন তারা। তা নাহলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে ওয়ারেছের বিরুদ্ধে।