পুলিশ মারার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কারাগারে

পটুয়াখালী থেকে সোহরাব হোসেন: পটুয়াখালীর দুমকি থানার এএসআই মো. আউয়াল হোসেনকে থানার ভিতরেই মারধর করায় মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশারকে পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এর আগে শনিবার রাতে ঘটনার শিকার এএসআই আউয়াল বাদি হয়ে দুমকি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে দুমকি থানার ভিতরে এ ঘটনার পর ওই পুলিশ কর্মকর্তা বাশারকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত বাশার দুমকি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হারুন-অর-রশিদ হাওলাদারের ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন।

দুমকি থানার অফিসার ই-চার্জ মো. হাবিবুর রহমান জানান, পুলিশকে মারধরের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের জলিসা গ্রামের মো. জালাল শরীফ নামের এক ব্যক্তি সকাল ১০টার দিকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আবুল বাশার নামের এক ব্যক্তি তার জমিতে জোর পূর্বক বসতঘর তুলছে। বাদীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে আউয়াল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। খবর পেয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সম্পাদক আবুল বাশার মোটরসাইকেলযোগে দুই সহযোগীসহ দুমকি থানায় হাজির হয়ে এএসআই আউয়ালকে গালমন্দ করতে থাকে। পুলিশ কর্মকর্তা আউয়াল এর প্রতিবাদ করলে বাশার হঠাৎ দৌড়ে এসে কিল-ঘুষি মারতে থাকে পুলিশ কর্মকর্তাকে। এতে পুলিশ কর্মকর্তার জামা ছিঁড়ে যায় এবং তিনি আহত হন। হতবিহ্বল এএসআই আউয়াল বাশারকে আটক করে ওসি’র কক্ষে নিয়ে যায়।