মধুপুর (টাঙ্গাইল) থেকে আব্দুল্লাহ্ আবু এহসান: বুদ্ধি ও সাহসিকতায় সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের হাত থেকে মুক্ত হলো ময়মনসিংহে অপহৃত কওমী মাদরাসার ছাত্র ইমরান (১২)। সোমবার সকাল ৯ টার দিকে অপহরণের প্রায় ২৪ ঘন্টা পর টাঙ্গাইলের মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা অপহরণকারীদের মাইক্রোবাস থেকে ইমরান লাফ দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে মুক্তি পায়।
ইমরান ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার তেজপাটুনি গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। বাড়ি থেকে ৭ কি.মি. দূরে আলজামিয়াতুল আকবরিয়া কাছিমুল উলুম মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র ইমরান হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। ইমরান জানায়, রবিবার সকালে বাড়ি থেকে হেঁটে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে জালিহাটা বড় পুকুরপাড় এসে পৌঁছলে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি তাকে ডেকে কাছে নেয়। এরপর সে আর কিছু জানে না।
সোমবার সকালে জেগে মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মাইক্রোবাসে নিজেকে দেখতে পায়। পাশে রয়েছে আরও একজন ঘুমিয়ে থাকা ১২-১৩ বছরের ছেলে। বুঝতে পারে বিপদে পড়েছে সে। এক মুহূর্ত চিন্তা না করে আচমকা গাড়ির দরজা খুলে লাফ দিয়ে বেরিয়ে সে দৌঁড় দেয়। দৌঁড়ে মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে দৃষ্টি টেলিকমের মালিক ছালেকুজ্জানের কাছে গিয়ে সাহায্য চায় এবং বাড়িতে বড় ভাই সোহেল রানাকে মোবাইল করে।
এদিকে এ ঘটনায় অপহরণকারীরা বিপদ আঁচ করতে পেরে দ্রুত বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনা শুনে ছালেকুজ্জামান ইমরানকে নিজের জিম্মায় রেখে মোবাইলে যোগাযোগ করে মধুপুরে দুপুরের দিকে বাবা মোফাজ্জল হোসেন, ভাই সোহেল রানা, মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়াছির আরাফাত রাসেলের কাছে তাকে তুলে দেন।
শিক্ষক ইয়াছির আরাফাত ও বাবা মোফাজ্জন হোসেন জানান, এক সপ্তাহ বন্ধের পর মাদ্রাসায় আসতে গিয়ে ইমরান এ অপহরণের শিকার হয়। এ ঘটনায় আমরা সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে খোঁজাখুঁজি করতে ছিলাম। সোমবার সকালে মাদ্রাসায় বিশেষ দোয়াও করেছি আমরা।