শেরপুর থেকে এম. সুরুজ্জামান: শেরপুরে চাঞ্চল্যকর সুজন হত্যা মামলার ১২ দিন পরও গ্রেফতার হয়নি কোনো আসামি। উল্টো বাদীপক্ষের বিরুদ্ধে লুটপাটের মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
সদর উপজেলার হাওড়া সাপমারী গ্রামের মৃত জব্বার খাঁর বড় ছেলে মো.শহিদুল ইসলাম ওরফে মন্ডলের সাথে ছোট ভাই সাইফুল মালেক সুজনের (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বড়ভাই শহিদুল তার অনুসারী কয়েকজনকে নিয়ে সুজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও মারপিট করলে সে গুরুতরভাবে আহত হয়। সুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে প্রাণ হারায়।
ওই ঘটনার পরদিন সুজনের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী মাহমুদা আক্তার বাদী হয়ে শহিদুল ইসলাম ওরফে মন্ডলসহ ৯ জনকে আসামি করে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত কোন আসামিকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বরং উল্টো সুজনের স্ত্রী ও হত্যা মামলার বাদী মাহমুদা আক্তার ও তার আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধে লুটপাটের মিথ্যে মামলায় হয়রানির পথ বেছে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৩ মার্চ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মন্ডলের এক মেয়েকে বাদী করে ওই কথিত লুটপাটের অভিযোগে আদালতে নালিশী মামলা হলে আদালত তা সরাসরি নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
হত্যা মামলার বাদীনি অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পরদিনই চরম নিরাপত্তাহীনতার কারণে নাবালক দুই শিশু সন্তানসহ পুলিশের উপস্থিতিতেই তিনি পিতার বাড়িতে চলে যান। এরপরই তিনিসহ তার আত্মীয়-স্বজন যেন হত্যা মামলার কোন খোঁজ-খবর নিতে না পারেন সেজন্যই হয়রানিমূলকভাবে ওই মিথ্যা মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।