মধুপুর (টাঙ্গাইল) থেকে আব্দুল্লাহ আবু এহসান: মধুপুর গড় এলাকার আদিবাসীদের কাছ থেকে লিজ নেওয়া জমির ১২শ’ কলার ছড়িসহ কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেটে ফেলা কলার মূল্য প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা। বৃহস্পতিবার সকালে মমিনপুর গ্রামের কলা চাষি আব্দুল্লাহ ওরফে কফিল উদ্দিনের বাগানে কলাসহ গাছগুলো রাবার বাগান কর্তৃপক্ষ কেটে ফেলেছে।
এজন্য দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক কফিল উদ্দিন। জানা যায়, উপজেলার পীরগাছা মৌজার আঙ্গার খোলা বাইদে কফিল উদ্দিন মমিনপুর গ্রামের আ: হাকিমের ৩ বিঘা ও আদিবাসী গারো লাট ও নিতিশ সাংমার নিকট থেকে ২বিঘা জমি ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ৪বছরের জন্য লিজ নেয় কফিল। ২ বছর আগে থেকে সে কলা আবাদ করে খাচ্ছে। এ বছর কলা লাগিয়ে পরিচর্যা করায় গাছে বড় বড় কলার ছড়ি ধরে। হাঠাৎ করে বিনা নোটিশে দিন দুপুুুরে বাগানের এক পাশ থেকে প্রায় ১২শ কলার ছড়ি নিমিষেই কেটে দেয় রাবার বাগানের কর্তৃপক্ষ।
কলা কেটে ট্রলি ভর্তি করে রাবার অফিসের পূর্ব পাশে পুকুরে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে কৃষক কফিল উদ্দিন ছুটে এসে দেখে তার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্জিত কলার বাগান দা দিয়ে কুপিয়ে সাবাড় করে ফেলেছে। ধারদেনা ও ঋণ করে আবাদ করা বাগানের কলাগাছ কেটে ফেলায় অসহায় কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বুক চাপড়িয়ে আর্তনাদ করছে তার পরিবার। কি দিয়ে পরিশোধ করবে ঋণ, ধারদেনা ও সার-কীটনাশকের দাম।
কৃষক কফিল উদ্দিন জানান, এই জমি আদিবাসীরা রাবার বাগান হওয়ার আগে থেকে ভোগ দখল করে খাচ্ছে। সে তাদের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে লিজ নিয়ে কলার আবাদ করছে। জবর দখল করেনি। পাশে আরও অসংখ্য কলার বাগান আছে অথচ সেগুলো কাটেনি। তিনি বলেন, ‘আমি ঋণ করে বাকীতে সার বিষ এনে কলার আবাদ করে ছিলাম এখন আমি কী দিয়ে এ টাকা পরিশোধ করবো’।
সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি কলাগাছ কলাসহ কুপিয়ে কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে পীরগাছার রাবার বাগানের সহকারী ম্যানেজার আতিক মাহমুদ জানান, ‘এটা বাগানের জমি। দুইবার তার কলার চারা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পরও কথা শুনেনি, তাই আমরা জমি উদ্ধার করেছি’। ম্যানেজার হাজী মিয়া তোফায়েল আহমেদ জানান, ‘এটা বশিউকের জায়গা। জবর দখল করে কলা লাগিয়েছে। আমরা আমাদের জায়গা উদ্ধার করেছি’।