বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে টুঙ্গীপাড়ায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

গোপালগঞ্জ থেকে হায়দার হোসেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষৎ ও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, আমরা চাই না এ দেশে মানুষ পুড়িয়ে মারা হোক, শিশুদের পুড়িয়ে মারা হোক, অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের পুড়িয়ে মারা হোক। আমরা চাই না আমার দেশের শিশুরা এ ধরনের প্রতিহংসার শিকার হোক।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৯৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধের পাবলিক প্লাজায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত শিশু সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। বিশ্ব দরবারে আমরা পরিচিতি পেয়েছি। আমরা একটি দেশ পেয়েছি। জাতির পিতা শিশুদের খুব ভালোবাসতেন। তিনি চেয়েছিলেন প্রতিটি শিশু লেখাপড়া করবে, এদেশের নেতৃত্ব দিবে। তাই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে আমরা ঘোষণা করেছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিশু ও মহিলা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, এদেশে রাজাকার-আলবদরদের বিচার করা হচ্ছে। পেট্রোলবোমা মেরে যারা এদেশে শিশুদের হত্যা করছে, তাদেরও এদেশে বিচার করা হবে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শিশু শিক্ষার্থী আশুরা ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন  শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক উল ইসলাম, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার জিল্লার রহমান ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ খলিলুর রহমান।

এর আগে ৯৬ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মাজারে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রথমে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুজনেই কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।

পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ফাতেহা পাঠ করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের অন্য শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় আয়োজিত এক বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। পরে, রাষ্ট্রপতি মাজারের দর্শনার্থী বইতে স্বাক্ষর করেন।

সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের  প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার  মোশাররফ  হোসেন,  শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি, এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ,  সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া, নৌবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান রিয়ার এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল মো. এনামুল বারী, এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর  প্রেস সচিব এ  কেএম শামীম চৌধুরী, সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও উচ্চপদস্থ  বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।