বরিশাল থেকে এম.মিরাজ হোসাইন: বরিশাল নার্সিং কলেজের ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকসহ সবক’টি ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করছে নার্সিং শিক্ষার্থীরা। এ সময় অধ্যক্ষ আলেয়া পারভীন এবং মেট্রোন ফরিদুন্নেছাকে তাদের নিজ নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। বুধবার সকাল ১১টা থেকে একাডেমিক ভবন মেডিকেল কলেজের ছাত্রীনিবাসের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বিরামহীনভাবে বিক্ষোভ শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার সকালে তারা জানতে পারেন নার্সিং কলেজের নবনির্মিত চারতলা একাডেমিক ভবন মেডিকেল কলেজের ছাত্রীরা পুলিশের সহায়তায় দখলে নিতে পারে। এই আশংকায় নার্সিং কলেজের সাড়ে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী ক্লাশ বর্জন করে নতুন একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা নিজেরাই মানবেতর অবস্থায় পুরনো ভবনে থাকছেন। এ অবস্থায় তাদের নতুন ভবন কাউকে ব্যবহার করতে দেবেন না। নতুন একাডেমিক ভবন মেডিকেল কলেজ ছাত্রীদের ব্যবহারের সিদ্ধান্ত বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী নার্সিং শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, নতুন একাডেমিক ভবন মেডিকেল কলেজ ছাত্রীদের ব্যবহারের সিদ্ধান্ত বাতিলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চাপ প্রয়োগের জন্য নার্সিং শিক্ষার্থীরা তাদের অধ্যক্ষ আলেয়া পারভীন এবং মেট্রোন ফরিদুন্নেছাকে তাদের নিজ নিজ কার্যালয়ে সকাল থেকে অবরুদ্ধ করে রাখে। অন্যদিকে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় বুধবার দুপুরে মেডিকেল কলেজের নার্সিং কলেজ, মেডিকেল কলেজ এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের এক জরুরি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ আলেয়া পারভীন সাংবাদিকদের জানান, ১৫ মার্চ রোববার স্বাস্থ্য মহাপরিচালক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের সভায় নার্সিং কলেজের জন্য নবনির্মিত চারতলা একাডেমিক ভবন মেডিকেল ছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ দেন। বিষয়টি নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা জানতে পেরে সেদিন থেকে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।