ঈশ্বরদী (পাবনা) থেকে স্বপন কুমার কুন্ডু: মূলাডুলি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা বাঁধন খন্দকার হত্যার প্রতিবাদে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক সম্মেলন থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মিঠুকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় তাকে দল থেকে বহিস্কারেরও দাবি জানানো হয়।
মেলায় জুয়ার আসর বসানোকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে মূলাডুলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা বাঁধন খন্দকার নিহত হন।
এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল আলম বাদল, হাবিবুর রহমান ওরফে মাছ হাবিব ও ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মিঠুসহ ২০ জন নামীয় ও অজ্ঞাত নামা আরও ১৫/২০জনকে আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের চাচা ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি খন্দকার এমদাদুল হক মিলন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল খালেক মালিথা, মূলাডুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মালিথা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মিলন খন্দকার ও খালেক মালিথা অভিযুক্ত কামাল হোসেন মিঠুর বহিস্কার দাবি করে তাকে এই ইউনিয়নে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন। এ সময় উপস্থিত বিপুল সংখ্যক নেতা ও কর্মী শ্লোগান দিয়ে বক্তব্যের প্রতি সমর্থন দেয়।
এ দিকে বুধবার দিবাগত রাতে মামলা দায়েরের পর ঈশ্বরদী থানা পুলিশ এজাহারভূক্ত আসামি যুবলীগ নেতা রুবেল মল্লিক ও বাবু শেখকে আটক করেছে।