কিশোরগঞ্জে নানা আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
কিশোরগঞ্জ থেকে মোস্তফা কামাল : নাশকতা আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তির বার্তা নিয়ে কিশোরগঞ্জে পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনি এবং সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থা, রাজনৈতিক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারি গুরুদয়াল কলেজ প্রাঙ্গণে স্থাপিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পনের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হয়।
সকাল ৮টা থেকে পুরাতন স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও মনোরম ডিসপ্লে অনুষ্ঠানের। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, স্কাউটস, রোভার স্কাউটস, গার্লস গাইড, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেয়। কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক এসএম আলম ও পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান।
এরপর জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের। বিকালে পুরাতন স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা এবং উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় মাঠে আয়োজন করা হয় মহিলা সমাবেশ, আলোচনা সভা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার।
বরিশালে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
বরিশাল থেকে এম.মিরাজ হোসাইন: সূর্যোদয়ের আগে একত্রিশ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে বরিশালে সূচনা হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। এরপর যথাযোগ্য মর্যাদায় আর বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে দিনভর নানা কর্মসূচি চলেছে প্রশাসন, রাজনৈতিক এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে।
সূর্যোয়ের সাথে সাথে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ অনান্য কর্মকর্তাগণ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, জাতীয় পার্টি, সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান পুষ্পস্তাবক অর্পণ করেন। বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস। এছাড়া বধ্যভূমির উদ্দেশ্যে পদযাত্রা করা হয়।
লেডিস ক্লাবে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্বর্ধনা এবং বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির আয়োজনে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রের প্রদর্শনি হয়। শিশুদের চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা ছাড়াও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে প্রশসন ও বিভিন্ন সংগঠন।
রাজশাহীতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
রাজশাহী থেকে কাজী শাহেদ: স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নগরীর শহীদ মিনারগুলোতে মানুষের ঢল নামে। পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে হৃদয়ের গভীর থেকে বিন¤্র শ্রদ্ধা জানান মাতৃভূমির জন্য প্রাণ উৎসর্গ করা বীর সন্তানদের। রাত ১২টা এক মিনিটে নগরীর ভুবনমোহন পার্ক, রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারসহ অন্য শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিভিন্ন সংগঠন।
ভুবন মোহন পার্কে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নগর আওয়ামী লীগ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, ন্যাপ, জাসদ, রাজশাহী ওয়াসা, জাতীয় যুব জোট। রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানায় রাজশাহী কলেজ প্রশাসন, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ নানান সংগঠন।
রাজশাহী কোর্ট শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা পরিষদের প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, জেলা যুবলীগ, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংগঠন।
রংপুরে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
রংপুর থেকে জয়নাল আবেদীন: রাত ১২ টা ১ মিনিটে রংপুর নগরীর মডার্ণ মোড়ে স্বাধীনতা স্তম্ভে¢¢ পুস্পমাল্য অর্পণ করেছেন বিভাগীয় জেলা এবং পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ। রংপুর সিটি মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুসহ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একই সময়ে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন।
রংপুর সিটি নির্বাচনের পর থেকে স্বাধীনতা এবং বিজয় দিবসে শহীদ মিনার বাদ দিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা আলাদাভাবে পুস্পমাল্য অর্পণ করছেন। রংপুর নগরীর মর্ডান মোড়ে অবস্থিত স্বাধীনতা স্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, পুলিশের ডিআইজি হুমাযুন কবির, জেলা প্রশাসক ফরিদ আহাম্মেদ, পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাকসহ বিভাগীয় ও জেলা এবং পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধা নিবেদন
ঝিনাইদহ থেকে জাহিদুর রহমান তারিক:ঝিনাইদহের শৈলকুপার কবিরপুর মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধের বিজয় স্তম্ভে প্রথম প্রহরে ৭১ এর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হাজারো মানুষের ঢল নামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে।
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সন্দ্বীপ কুমার সরকারের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, শৈলকুপা থানা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, প্রেসক্লাব শৈলকুপা, শৈলকুপা পাবলিক হল ও লাইব্রেরি, শৈলকুপা পৌরসভা, দেশ ব্যান্ড, শৈলকুপা মহিলা কলেজ, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, প্রগতি লেখক সংঘ, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শেরপুরে বিভিন্ন কর্মসূিচর মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
শেরপুর থেকে হাকিম বাবুল: শেরপুরে বিভিন্ন কর্মসূিচর মধ্যদিয়ে ২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের স্মরণে জেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল আটটায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়াম মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্কাউট, বিএনসিসি এবং শিক্ষার্থীরা কুজকাওয়াজ ও শারিরীক কসরত প্রদর্শন করে। দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এতে হুইপ আতিউর রহমান আতিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দিবসের অন্যান্য কর্মসূিচর মধ্যে ছিল প্রীতি খেলাধুলা, মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা।
শ্রীবরদীতে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
শেরপুর থেকে রেজাউল করিম বকুল: শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মাজার জিয়ারত, শহীদ মিনারে পুষ্পার্পনসহ নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সর্বত্র পালিত হয়েছে ২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার মহান স্বাধীনতা দিবস। সারা দেশের ন্যায় শ্রীবরদীতেও রাত ১২ টা ১ মিনিটে শহরের শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা বিএনপি, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটিসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে পৃথক ভাবে পুষ্পার্পন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শেরপুর ৩ আসনের এমপি একেএম ফজলুল হক চান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবা শারমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহারুল ইসলাম লিটন, সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাইদ, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি একেএম রহুল আমীন কালাম, সাধারণ সম্পাদক ও মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিধি রেজাউল করিম বকুল, আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আযম তুহিন ও মানবজমিনের জেলা প্রতিনিধি ফরিদুজ্জামান প্রমুখ।
বারহাট্টায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
বারহাট্টা (নেত্রকোণা) থেকে মো. আমিনুল ইসলাম খান রিজভী ঃ যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার নেত্রকোণার বারহাট্টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে।
অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল শহীদ-আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, রাত বারোটা এক মিনিটে ২১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা ও বীর শহীদদের উদ্দেশ্যে স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পার্পণ।
উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শেণি-পেশার মানুষ এই কর্মসূিচতে অংশ নেন। সকালে বারহাট্টা সি. কে. পি. পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস. এম. জাহাঙ্গীর হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় পুলিশ, আনসার ও বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিশু-কিশোর কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করে।
কাউখালীতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
কাউখালী (পিরোজপুর) থেকে রবিউল হাসান রবিন: পিরোজপুরের কাউখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভ সূচনা হয়।
সকালে উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিএনপি, জাতীয়পার্টি (জেপি), যুবলীগ,ছাত্রলীগ, ছাত্রদল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কে,জি ইউনিয়ন সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ দিবস পালন উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, বয়েজ স্কাউট, গালর্স ইন স্কাউট, রোভার স্কাউট ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ, শরীর চর্চা প্রদর্শনী ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। কাউখালী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আহসান কবীর, আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এম,নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মিঠু, মুিুক্তযোদ্ধা কমান্ডার হারুন আর রশীদ, ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ মিলটন প্রমুখ।
গোপালগঞ্জে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবস পালিত
গোপালগঞ্জ থেকে হায়দার হোসেন: অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনা নিয়ে নানা কর্মসূিচর মধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২ টা ১ মিনিটি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।
প্রত্যুষে গোপালগঞ্জ শহরের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন স্বাধীনতা ও বিজয় স্মৃতি স্তম্ভ চত্ত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসের অন্যান্য কর্মসূিচ। সকাল সাড়ে ৬ টায় স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন। এরপর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকাল ৮ টায় শহরের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সেখানে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনী।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্র, হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু পরিবার, শিশু নিবাস, এতিমখানা ও শিশু কেন্দ্রসমূহে পরিবেশন করা হয় উন্নতমানের খাবার। জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনায় মসজিদ, মন্দির ও গীর্জাসহ বিভিন্ন উপসনালয়ে প্রার্থনা করা হয়।
রাজনগরে স্বাধীনতা দিবসের পুষ্পস্তবক তছনছ, জনমনে ক্ষোভ
মৌলভীবাজার থেকে আজিজুল ইসলাম: মৌলভীবাজারের রাজনগরে নবনির্মিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভে বিভিন্ন দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। তবে অর্পিত পুষ্পস্তবক তছনছ করার ঘটনা এবং এ বিষয়ে প্রশাসনের উদাসীনতায় মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার রাতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অর্থায়নে ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ’ সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী এমপি উদ্বোধন করেন।
রাত ১২টা এক মিনিটে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সূচনা করা হয়। এরপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অর্থায়নে ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভে’ সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান আছকির খান, ইউএনও আইনুর আক্তর পান্না, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিছবাহুদ্দোজা ভেলাই, বিএনপি, রাজনগর প্রেসক্লাব, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, যুবদল ছাত্রদল, প্রজন্মলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পন করে।
এদিকে নবনির্মিত ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভে’ অর্পিত পুষ্পস্তবক তছনছ করেছে কে বা কারা। দুপুরের পরে ওই পুষ্পস্তবকগুলো তছনছ করা হয়। তবে কে বা কারা এবং কি জন্য তছনছ করেছে তা কেউ বলতে পারছেন না। এনিয়ে সচেতন মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভে’ অর্পিত পুষ্পস্তবক তছনছের ব্যাপারে উপজেরা নির্বাহী অফিসার আইনুর আক্তার পান্না জানান, আমাদের আলোচনা সভার সময়ও দেখেছি এগুলো সুন্দর মতই আছে। তবে ওখানে বাচ্চারা ছিল হয়তো তারাই এ কাজ করতে পারে।