কৃষিবিদদের নিয়োগ সংকোচনের প্রতিবাদে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি পেশ

দিনাজপুর থেকে রতন সিং: বিএডিসির নিয়োগ ও পদায়ন নীতিমালায় সহকারী পরিচালক পদে কৃষিবিদদের নিয়োগের পদ সংকোচন করার প্রতিবাদে কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছেন।
সোমবার দুপুরে দিনাজপুর হাবিপ্রবি’র কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা বিএডিসি’র নিয়োগ ও পদায়ন নীতিমালায় কৃষিবিদদের পদ সংকোচন করার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে নীতিমালা সংশোধনের দাবিতে উপাচার্য প্রফেসর মোঃ রুহুল আমিনের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। এসময় কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আনিস খান, কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী রনি, মমিনুল ইসলাম মুনেম, রুমানা আকতার, নাজমুল হাসান, তন্ময় দত্ত, ফাহিম এরশাদ, আল সাবিত রকি, আবির হোসেন, সঞ্চিতা রায়, আনতারিকা আনিকা কেয়া উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বিএডিসির প্রবিধানমালা ১৯৯০ অনুসারে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থায় ২৫ বছর ধরে এ পর্যন্ত কৃষি পুলে সহকারী পরিচালক পদে সরাসরি নিয়োগে ৭৫ ভাগ কৃষিতে নূন্যতম স্নাতক এবং সংস্থায় কর্মরত উপ-সহকারী পরিচালকগণ (কৃষিতে ডিপ্লোমাধারী) পদোন্নতির মাধ্যমে ২৫ ভাগ পদ পুরণ হয়ে আসছে। কিন্তু বিএডিসি ২০১২ সালে সহকারী পরিচালক পদে প্রবিধানমালা ১৯৯০ অনুসারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এই প্রেক্ষিতে বিএডিসিতে কর্মরত উপ-সহকারী পরিচালকগণ সংস্থায় বিদ্যমান ২৫ ভাগ কোটার পরিবর্তে ৭৫ ভাগ কোটা দাবি করছে।

প্রথম শ্রেণির পদের ক্ষেত্রে কৃষি ডিপ্লোমাধারীদের ৭৫ ভাগ কোটা পুরণের বিধান চালু নেই। বিগত তিন বছর বিএডিসিতে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ বন্ধ থাকায় সারাদেশে কৃষি গ্রাজুয়েটদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।

দেশের কৃষিশিক্ষা, কৃষি এবং কৃষি অর্থনীতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় অবিলম্বে বিতর্কিত বিধিমালা বাতিলের দাবি জানানো হয়।