বরিশালে পৃথক অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১, আহত ২৫

বরিশাল থেকে এম.মিরাজ হোসাইন: বরিশালে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অপসোনিন ফার্মায় ও গৌরনদীর টরকি বন্দরে অগ্নিকাণ্ডে এক শ্রমিক মারা গেছে। আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন। আহতদের বরিশাল শেবাচিম ও গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Barisal Photo= burn-30.03
জীবনানন্দ দাস সড়কে অপসো ফার্মায় চার তলার প্যাকেজিং শাখা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়

ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বরিশাল জীবনানন্দ দাস সড়কে অপসোনিন এর অপসো ফার্মায় রবিবার রাত ২টায় চার তলার প্যাকেজিং শাখা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে ছয়তলা পর্যন্ত পৌঁছে। এসময় আগুনের ধোঁয়ায় ছয় তলায় মসজিদে থাকা রং মিস্ত্রী মো. নেছারউদ্দিন পেদা (৪৫) মরা যান। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলায়। আরো চার শ্রমিক মো. ফারুক (৪৫), ছিদাম নন্দী (৫০), আ. রশীদ (৩৮) এবং জাকির হোসেন (৩২) অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র  স্টেশন অফিসার  মো. আলাউদ্দিন জানান, আগুন লাগার পর প্রথমে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিটের সাথে ঝালকাঠী, বানরীপাড়া ও উজিরপুর উপজেলা থেকে আসা ৩টি মিলিয়ে ৭টি ইউনিট ৬ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে একটি কক্ষের আগুন নিভাতে  সকাল দশটা পর্যন্ত তাদের কাজ করতে হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

ঘটনাস্থলে থাকা কোতোয়ালী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, তদন্ত ছাড়া তারা অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে বলতে পারবেন না। আর ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোনকিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন অপসোনিন ফার্মার কর্মকর্তারা।

অপর দিকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দরের রায়পট্টিতে অগ্নিকা-ে ১০ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ৮টি বসত ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। আগুন নিভাতে গিয়ে আহত হন ২০ জন। রবিবার শেষ রাত ৩টায় এই অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে।

গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার আব্দুল করিম জানান, ভোর তিনটার দিকে বন্দরের রায়পট্টির রশিদ মেকারের দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন চার দিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে গৌরনদী, উজিরপুর ও মাদারীপুর ফায়ার সার্ফিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় দুই ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রেণে আনেন।

অগ্নিকাণ্ডে তরিকুল ইসলাম মাঝি, কাজী আল আমীন, আ. রব, নিখিল রায়,  হাসানাত খান, মন্টু সরদার নামক ব্যাসায়ীদের দোকান ও গুদাম মিলিয়ে ১০টি এবং রিপন সরকার, নান্নু ভূইয়া, অলিল রাঢী ও ফরহাদ ঘরামীর বাসা ভস্মিভূত হয়। ব্যাবসায়ীরা দাবি করেন এত ১৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

গৌরনদী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. সাজ্জাদ হেসেন বলেন, আগুন নিভাতে গিয়ে হেলাল মিস্ত্রী, তাইফুর রহমান বেপারী, স্বপন কুমার, হারুন বয়াতি, জামিল মাহামুদ, নারায়ণ পোদ্দার, শেখর দত্ত বনিকসহ ২০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এদের অবস্থা গুরুতর নয়।