কিশোরগঞ্জ থেকে মোস্তফা কামাল: কিশোরগঞ্জে এক গৃহবধূকে হত্যার এক মাস পর ঘাতক স্বামী নূরুল ইসলামকে (৩৫) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে নিহতের পরনের কাপড়। সদর থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন ও নিহতের স্বজনরা জানান, ৯ বছর আগে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ইটাচকি গ্রামের মৃত রমজান আলীর মেয়ে মিনা বেগমের (৩২) বিয়ে হয়েছিল কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল মধ্যপাড়ার মৃত কাছুম আলীর ছেলে ট্রাক হেলপার নূরুল ইসলামের (৩৫) সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই মিনার ওপর স্বামী টাকার জন্য নির্যাতন করত। মিনার পরিবার মাঝে মাঝে কিছু টাকা দিলেও নির্যাতন বন্ধ হতো না। ফলে ৯ মাস আগে মিনা বেগম কিশোরগঞ্জের নারী-শিশু আদালতে মামলা করে ঢাকায় গিয়ে বাসাবাড়িতে ঝিয়ের কাজ নেন।
৫ মার্চ মামলার তারিখ থাকায় ৪ মার্চ রাতে মিনা ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জে আসলে তাকে স্বামী নূরুল ইসলাম মিমাংসার কথা বলে কৌশলে পূর্ব তারাপাশার দামপাটুলি বন্দে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এরপর মিনার পরনের সালোয়ার পাশের ডোবায় পুঁতে রাখে। পুলিশ ৭ মার্চ সন্ধ্যায় অজ্ঞাত হিসেবে মিনার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তশেষে পৌর গোরস্তানে লাশ দাফন করে। বুধবার মিনার মা আয়শা বেগম ও ভাই রজব আলী কিশোরগঞ্জ সদর থানায় গিয়ে ছবি দেখে মিনাকে শনাক্ত করার পর সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে নূরুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করলে সে হত্যাকা-ের কথা স্বীকার করে এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের সালোয়র নিজ হাতে বের করে দেয়। নিহতের পরিবার এ হত্যাকা-ের সুষ্ঠু বিচার চায়।