রংপুর থেকে জয়নাল আবেদীন: শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, র্যালি, স্মরণসভা ভোগ বিতরণসহ নানা অনুষ্ঠানে পালিত হয়েছে রংপুরের দখিগঞ্জ শ্মশান বধ্যভূমি দিবস। শুক্রবার বিকেল ৫টায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ, সৎকার সমিতি এবং দখিগঞ্জ শ্মশান বধ্যভূমি সংগঠনের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক পুস্পমাল্য অর্পণ শেষে স্বরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
অ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবুসোনার সভাপতিত্বে স্বরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মীর আনিসুল হক পেয়ারা। বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সাবেক জেলা সাধারণ সম্পাদক চন্দন ঘোষ, শিক্ষাবিদ বনমালী পাল, ডা. অসীমা ভৌমিক, প্রজন্ম ৭১ জেলা আহবায়ক দেবদাস ঘোষ দেবু, শহীদ পরিবারের সন্তান মিহির হালদার খোকন, সমাজকর্মী অলোক নাথ, স্বপন রায়, সমরেস দাস সাগর, পারুল সরকার প্রমুখ।
বক্তারা দখিগঞ্জ বধ্যভূমি দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন ও সকল বধ্যভূমি যথাযথভাবে সংরক্ষণের দাবি জানান।
১৯৭১ সালের ৩ মার্চ রাতে পাকহানাদার বাহিনী রংপুর শহরের বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ১১ জনকে ধরে এনে দখিগঞ্জ শ্মশানে গুলি করে হত্যা করে। সেদিন যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন তাঁরা হলেন ওয়াই এ মাহফুজ আলী জররেজ, ক্ষীতিশ হালদার, এহসানুল হক দুলাল, রফিকুল ইসলাম রফিক, শান্তি চাকী, দুর্গা দাস অধিকারী, গোপাল চন্দ্র, তোফাজ্জল হোসেন মহরম, উত্তম কুমার অধিকারী গোপাল, পাগলা দরবেশ। এছাড়াও ডা. দ্বীনেশ চন্দ্র ভৌমিক (ডা.মন্টু) গুলিবিদ্ধ হলেও আকস্মিকভাবে বেঁচে যান এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।