শেরপুর থেকে এম. সুরুজ্জামান: কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, রাজনীতিতে শেখ হাসিনা বুলেটের ভয় পায় না। তাঁকে মারার জন্য ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। এই হামলায় তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও এক কানে এখনও শুনতে পান না। তিনি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন। তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়কে তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা বানিয়েছেন। আর বিনা পয়সায় জয় ডিজিটাল বাংলদেশ গড়ায় লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
শুক্রবার বিকেলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল তখন ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গুবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এরপর শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর শপথ নেন। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পর্ণ হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, এর আগে সারের কথা বলেছিলাম। এখন সার আপনাদের খুঁজতে হয় না। সারই আপনাদের খুঁজে। বর্তমানে দেশের উন্নয়নের জন্য এখন প্রয়োজন বিদ্যুতের। সময় আসছে বিদ্যুতের লোকেরা এসে বলবে বিদ্যুতের কানেকশন নিবেন? তাই বলি, সবার জন্য কর্মসংস্থানের দেশ এই বাংলাদেশ।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হক মাষ্টারের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, উপ-প্রচার সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, শেরপুর-৩ আসনের এমপি একেএম ফজলুল হক চান, শেরপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ছানোয়ার হোসেন ছানু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোসাদ্দেক ফেরদৌসী প্রমুখ। এদিন জিয়াউল হক মাষ্টারকে সভাপতি ও ফজলুল হককে সম্পাদক করে উপজেলা ত্রি-বার্ষিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।