বাগেরহাট থেকে বাবুল সরদার: বাগেরহাটের ফকিরহাটের পিলজংগ ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রাম থেকে শুক্রবার বিকেলে পুলিশ রোকসনা পারভিন (২৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে। স্বামীর বাড়ির পাশে একটি ডোবা থেকে উদ্ধারকৃত লাশটি ইট দিয়ে ডুবিয়ে রাখা হয়েছিল। যৌতুক না পেয়ে রোকসনা পারভিনকে বুধবার পিটিয়ে হত্যার পর লাশটি ওই ডোবায় ফেলে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে তার স্বামী-শাশুড়ী-দেবরের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে পুলিশ নিহত গৃহবধূর শাশুড়ীকে আটক করেছে। তবে তার স্বামী ও দেবর পালিয়ে গেছে। নিহত রোকসনা পারভিনের শুভা (৮) ও ইভা (৩) নামের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের আত্মীয় স্বজনেরা জানান, একই উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের কামটা গ্রামের আব্দুর জব্বার শেখের মেয়ে রোকসনা বেগমের প্রায় ১৩ বছর আগে বালিয়াডাঙ্গা এলাকার মল্লি¬ক মুজিবুর রহমানের ছেলে আরিফ মল্লিকের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুকসহ পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকদফা শালিস করেও বিষয়টি মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ গত মাসে যৌতুক স্বরূপ আরিফকে নগত ২০হাজার টাকা দেয় রেকসনার দরিদ্র অভিভাবকেরা। কাঙ্খিত টাকা না পাওয়ায় স্বামীর বাড়ির লোকজন আরও ক্ষিপ্ত হয়। ঘটনার দিন বুধবার সন্ধ্যা থেকে গৃহবধূ রোকসনা বেগমকে খোঁজ করে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ বিষয়টি স্বামী পক্ষের লোকজন রোকসনার পরিবারকে জানালে তারা আরিফ মল্লিকের বাড়িতে খোঁজ করতে আসলে আরিফের লোকজন তাদের উপর চড়াও হয়। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বড় ভাই মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার সকালে ভগ্নিপতি সহ ৩/৪জনের নাম উল্লেখ করে মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন।
পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শুক্রবার স্থানীয় লোকজন রোকসনার লাশ তার স্বামীর বাড়ির পাশে একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করেন। লাশটির গায়ে ইট বেঁধে ডুবিয়ে রাখা হয়েছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। খবর পেয়ে মডেল থানার অফিসার-ইন-চার্জ মো. আসিসুর রহমান লাশটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনার পরে তার স্বামী ও দেবর বাড়ি ফেলে পালিয়ে গেলেও পুলিশ স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় শাশুড়ী ফরিদা বেগমকে (৫৪) আটক করেছে।