শেরপুর থেকে হাকিম বাবুল: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আপিল বিভাগে আলবদর কমান্ডার জামায়াত নেতা মুহম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের রিভিও আবেদন খারিজ হওয়ায় শেরপুরে আনন্দের বন্যা বইছে। ৬ এপ্রিল সোমবার সকালে আপিল বিভাগে রিভিও আবেদন খারিজের আদেশ ঘোষণার সাথে সাথেই স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির লোকজন শহরে আনন্দ মিছিল বের করে। এসময় একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে আনন্দ করে।
এদিকে, কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় বহাল থাকায় সোহাগপুর বিধবাপল্লীর বিধবা ও শহীদ পরিবারের স্বজন এবং ক্ষতিগ্রস্তরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে শেরপুর কলঙ্কমুক্ত হলো। এতদিনে আমাদের বুকের কষ্ট কিছুটা লাঘব হলো। আমরা এ রায়ে খুশি। এখন কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর দেখে মরতে চাই। রিভিউ আবেদন খারিজের আদেশ হওয়ার পর বাদ জোহর বিধবপল্লীতে শহীদ পরিবারের স্বজনরা মিলাদ ও দোওয়া মাহফিল করে শোকরিয়া আদায় করেছে।
কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজের সংবাদ পেয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার নূরুল ইসলাম হিরুর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি মিছিল ভি-চিহ্ন দেখিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। রঘুনাথ বাজার থানা মোড় থেকে শেরপুুর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জুনায়েদ নূরানী মনি ও সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল হাসান উৎপলের নেতৃত্বে একটি আনন্দ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে। এছাড়া যুবলীগ শহরে আরেকটি আনন্দ মিছিল বের করে। এ সময় তারা পরস্পরকে মিষ্টি খাইয়ে আনন্দ করে। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার নূরুল ইসলাম হিরু অবিলম্বে এ ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবি জানিয়ে কামারুজ্জামানের লাশ শেরপুরের মাটিতে দাফন করতে না দেওয়ার ঘোষণা দেন।
এদিকে, রিভিও আপিল খারিজ হওয়ায় শেরপুরে কামারুজ্জামানের নিজ এলাকা বাজিতখিলা ইউনিয়নসহ জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, সোহাগপুর বিধবাপল্লী এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি’র টহল জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম জানিয়েছেন, সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।