হাকালুকি হাওরের অভয়াশ্রমে মাছ শিকারে তৎপর সংঘবদ্ধচক্র

মৌলভীবাজার থেকে আজিজুল ইসলাম: এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকি অভয়াশ্রমে মাছ শিকারে তৎপর রয়েছে সংঘবদ্ধচক্র। অবৈধ জাল ও বড়শি দিয়ে মাছ ধরে থাকে শিকারীরা। সম্প্রতি প্রশাসনের অভিযানে মাছ শিকারের বিষয়টি ধরা পড়লেও শিকারীরা থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

IMG_20150404_084619
হাকালুকি অভয়াশ্রমে মাছ শিকারে তৎপর সংঘবদ্ধচক্র

হাকালুকি হাওরের কাংলি বিলটি সরকারি ব্যবস্থাপনায় অভয়াশ্রম কার্যক্রমের আওতাধীন রয়েছে। কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য অফিস ও স্থানীয় ভাটেরা ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধানে এই অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন হলেও দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে গত ২ বছর থেকে এই অভয়াশ্রমে মাছ শিকারীরা হরিলুট চালিয়ে আসছে। একাধিক নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মদদেই এই হরিলুট চলছে। ফলে হাওরে প্রশাসনের অভিযানের আগেই শিকারীদের কাছে পৌঁছে যায় খবর।

এদিকে অভয়াশ্রমে মাছ শিকারের খবর পেয়ে শনিবার দিনভর কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। সে সময় কাংলি বিলের অভয়াশ্রমে অবৈধভাবে মাছ ধরার সময় ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ২৫০টি বড়শি ও মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত ৩টি নৌকা আটক করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে সহযোগিতা করেন উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. সুলতান মাহমুদসহ পুলিশ ও সরকারি বেসরকারি সংস্থার লোকজন।

আটক জাল ও বড়শি পরে কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলামের উপস্থিতিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. সুলতান মাহমুদ জানান, শিকারীরা অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পালিয়ে গেলেও নৌকার মালিকদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।