গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) থেকে আতাউর রহমান মিন্টু: গফরগাঁও আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি, উপজেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় বর্ষীয়াণ রাজনীতিবিদ মোঃ ফজলুর রহমান সুলতানের জানাযার নামাজ মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে পৌরশহরের গো-হাটা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। একজন সৎ, নির্লোভ ও অহিংস রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত এই রাজনৈতিক নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও তার জানাযায় অংশ নিতে গফরগাঁও ও পাশ^বর্তী কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলমত নির্বিশেষে লাখো মানুষ উপস্থিত হয়েছিল।
মঙ্গলবার দুপুর থেকেই ফজলুর রহমান সুলতানের জানাযার নামাজকে কেন্দ্র করে স্থানীয় গো-হাটা ময়দান অভিমুখে জনতার ঢল নামে। বেলা ১টার পূর্বেই গো-হাটা ময়দান মানুষে পূর্ণ হয়ে যায়। পার্শ^বর্তী রোস্তম আলী গোলন্দাজ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, আদর্শ শিশু নিকেতন মাঠ, মেক্সী স্ট্যান্ড, হাসপাতাল রোড, নতুন বাজার, কাচারী রেল ক্রসিং পর্যন্ত মানুষ অবস্থান নেয়। সব মিলে লাখো মানষের উপস্থিতি। মরহুমের জানাযার নামাজ উপলক্ষে উপজেলার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখে।
নামাজে ইমামতি করেন পুখুরিয়া মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ফখরুল ইসলাম। জানাযা নামাজের পূর্বে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ দলীয় স্থানীয় এমপি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, সাবেক এমপি আবুল হাশেম, উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বাদল, পৌর মেয়র এডভোকেট কায়সার আহম্মেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলাল আহম্মেদ, জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়াহাব আকন্দ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও মরহুমের ছোটভাই এবি সিদ্দিকুর রহমান। মরহুমের একমাত্র ছেলে ও উপজেলা বিএনপি নেতা মুশফিকুর রহমান তার পিতার জন্য সবার কাছে দোয়া চান। মরহুমের লাশ ষোলহাসিয়া গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ ফজলুর রহমান সুলতান রবিবার রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।