শেরপুর থেকে হাকিম বাবুল: শেরপুরের বাজিতখিলা এলাকার নিজগ্রামে প্রতিষ্ঠিত এতিমখানার পাশে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত কামারুজ্জামানের লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে। ৮ এপ্রিল বুধবার বিকেলে বাজিতখিলা মুদিপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এতিমখানার পশ্চিম পাশের রাস্তা সংলগ্ন স্থানে একটি ধানক্ষেতের কাঁচা ধান কেটে সেখানে ট্রাকে করে মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। স্থানীয় উৎসুক লোকজন সেখানে ভীড় করে আছে। কামারুজ্জামানের ছোট ভাই মো. কফিল উদ্দিন ও পরিবারের লোকজন সেখানে উপস্থিত থেকে দাফনের জন্য কবরস্থান তৈরি করার কাজ তদারক করছেন।
কামারুজ্জামানের ছোট ভাই মো. কফিল উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, কামারজ্জামানের ইচ্ছা ছিল তার মৃত্যুর পর লাশ তার প্রতিষ্ঠিত এতিমখানার পাশে যেন দাফন করা হয়। সেই মোতাবেক লাশ দাফনের জন্য পারিবারিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ফাঁসি কার্যকরের পর তার লাশ আমাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর ও দাফনের জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেছি।
মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে তার লাশ শেরপুরের মাটিতে দাফন প্রতিহত করার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, দুনিয়ার এমন কোনো নজির নেই, মৃত্যুর পর লাশ দাফনে কেউ বাঁধা দেয়। তাদের দাবি ঠিক নয়। তারা বললেইতো আর হবেনা। আমরা পরিবারের লোকজন আমাদের লাশ নিজেদের মাটিতেই কবর দেব। এ জন্য প্রশাসন ও পুলিশের নিকট আবেদন জানিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সঠিক বিচার পাইনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অন্যায়ভাবে কামারুজ্জামানকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। একদিন সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে।