বরিশাল থেকে এম.মিরাজ হোসাইন: অর্থ সংকটে মুখ থুবড়ে পড়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম। স্থানীয় সরকারের নির্দিষ্ট খাত থেকে আদায়কৃত স্থানীয় আয়ে চলছেনা বিসিসির খরচের যোগান। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও নিয়মিত কার্যক্রমের খরচের জন্য সরকার কিংবা বিদেশী অনুদানের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় প্রতিষ্ঠানটিকে। বিসিসি সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটির স্থানীয় বার্ষিক আয় দিয়ে মাত্র তিন মাস খরচের যোগান দেয়া সম্ভব।
বছরের অন্যান্য মাসগুলো বিনা বেতনে মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। নগরীর বাসিন্দাদের থেকে পানির বিল, ট্রেড লাইসেন্স ফি, হোল্ডিং ট্যাক্সসহ বিভিন্নখাত থেকে ১০ কোটি টাকা আয় হয়। কিন্তু বেতন ভাতাদি এবং দাপ্তরিক ব্যয়সহ প্রতিমাসে ব্যয় হয় প্রায় ৩ কোটি ৩৩ হাজার টাকা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সিটি করপোরেশনের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে টেকসই অবদান রাখার লক্ষে দাতাসংস্থা জাইকা, এডিবি, বিশ্বব্যাংকসহ প্রতিষ্ঠানগুলো পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে অনুদান দেয়। এসব অনুদান পেলে স্থানীয়ভাবে সিটি করপোরেশন তাদের চাহিদার অনেকাংশই মেটাতে সক্ষম হয়।
বিদেশি অনুদানের সর্বশেষ অনুমতি দেওয়া হয় সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে। সেক্ষেত্রে সরকার দলীয় মেয়র না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মহল থেকে অনুদানে তেমন ছাড় দেওয়া হয় না বলে দাবি বেশ কয়েক কাউন্সিলরের। যে কারণে অর্থ সংকট লেগেই থাকে। ভুক্তভোগী বিসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মী মোঃ এহসান বলেন, তিন মাস আগে বেতন পেয়েছি। এরপর আর কোনও খবর নেই। আমাদের দৈনন্দিন কাজের ব্যয়ের একদিনেরটা কয়েকদিন পরে পাই। আর এর প্রভাব পড়ে মাঠ পর্যায়ে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আহসান হাবিব কামাল বলেন, আমাদের স্থানীয় আয় দিয়ে এতবড় প্রতিষ্ঠান চালানো খুবই কষ্টকর। এমনিতে বিভিন্ন পর্যায়ের বিল, হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া পড়ে আছে। তবে পুরানো বকেয়া আদায়ে ব্যাপক তোড়জোর চলছে। পাশাপাশি অনুদানের বিষয়টিতেও লবিং চলছে বলে দাবি মেয়রের।