ঝিনাইদহ থেকে জাহিদুর রহমান তারিক: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৫ দিন যাবত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ৩টি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রাম। সোমবার ভোররাতে কালবৈশাখীতে ওই ৩টি ইউনিয়নের ৩৫ গ্রাম ল-ভ- হয়ে যায়। এরপর থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ওই এলাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে আরো ১০ দিন লাগবে। ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রবিউল হক জানান, ঝড়ে পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। প্রায় ২০টি খুঁটি ভেঙে গেছে। এলাকায় কর্মীরা কাজ করছে। শেষ হতে আরো ১০ দিন সময় লাগবে।
বিদ্যুৎ না থাকায় সমস্যায় পড়েছে ওই তিনটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। শিক্ষার্থীরা ঠিকমত লেখাপড়া করতে পারছে না। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সমস্যা বেশি। এ ছাড়া শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে অতিষ্ঠ। চার্জ দিতে না পারায় মোবাইল বন্ধ রয়েছে। ফলে যোগাযোগও করতে পারছেন না গ্রাহকরা।
কাঁচেরকোল ইউনিয়নের উত্তর মির্জাপুর গ্রামের প্রাক্তন মেম্বর লিটন মুন্সী জানান, সোমবার থেকে বিদ্যুৎ নেই। ফ্রিজে যেসব খাবার ছিল তাও নষ্ট হয়ে গেছে। পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে মোবাইল চার্জ দিয়ে নিয়ে এসেছি। আরো ১০ দিন যদি বিদ্যুৎ না আসে তাহলে খুব সমস্যায় পড়তে হবে আমাদের।
সারুটিয়া ইউনিয়নের কাতলাগাড়ী গ্রামের কৃষক রোকন উদ্দিন জানান, বিদ্যুতের কারণে দুই দিন জমিতে সেচ দিতে পারছি না। এভাবে যদি আরও ক’দিন যায় তাহলে ফসলের ক্ষতি হবে। ফলন নিয়ে চিন্তিত তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, এ মুহূর্তে ইরি-বোরো চাষে সেচ খুবই জরুরি। এখন ধান গাছে থোর আসার সময়। বিদ্যুতের অভাবে সেচ পাম্পগুলো বন্ধ থাকলে ক্ষতি হবে বলেও আশাঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।