ঢাকা বিভাগের সঙ্গে আমিও থাকতে চাই- কিশোরগঞ্জে রাষ্ট্রপতি

কিশোরগঞ্জ থেকে মোস্তফা কামাল : সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় কিশোরগঞ্জকে ঢাকা বিভাগে রাখার দাবি উত্থাপনের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ বলেছেন, কিশোরগঞ্জের একজন মানুষ হিসেবে আমিও ঢাকা বিভাগেই থাকতে চাই। তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, প্রধানামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হলে আমি কিশোরগঞ্জবাসীর অনুভূতির কথা তুলে ধরবো।

চার দিনের সফরে কিশোরগঞ্জে এসে রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সার্কিট হাউজে জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কিশোরগঞ্জকে প্রস্তাবিত ময়মনসিংহ বিভাগে না রেখে ঢাকার সঙ্গে রাখার দাবি জানালে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

সভায় জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তফা কামাল, সুবীর বসাক, সাইফুল হক মোল্লা দুলু, শফিক আদনান, আশরাফুল ইসলাম, আবু তাহের, সুলতান রায়হান ভূঁইয়া রিপন, মারুফ আহমেদ, সাকাউদ্দিন আহমেদ রাজন, নাজমুল ইসলাম, মুনিরুজ্জামান সোহেল, আল আমিনসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৬১ সালে মেট্রিক পাস করে গুরুদয়াল কলেজে ভর্তি হয়ে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেছি। দলমত নির্বিশেষে সবার সঙ্গে সবসময় অবাধে দেখাসাক্ষাৎ হয়েছে, কথা হয়েছে। জেলার সাধারণ মানুষের সঙ্গে ওঠাবসা হয়েছে। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই। ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি হবার আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক বক্তৃতা করার সুযোগ ছিল। কিন্তু এখন আর রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়ারও সুযোগ নেই। যেকোনও সময় যে কেউ আমার সঙ্গে দেখাও করতে পারেন না।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের এমপি আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন, সংরক্ষিত আসনের এমপি দিলারা বেগম, জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক এসএম আলম, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এমএ আফজাল প্রমুখ। এই সভার পর রাষ্ট্রপতি পর্যায়ক্রে জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও কর্মকর্তাদের সঙ্গেও পৃথক সভায় মিলিত হন।

এর আগে রাষ্ট্রপতি ৯ এবং ১০ এপ্রিল হাওর উপজেলা ইটনা ও মিঠামইনে যোগাযোগ অবকাঠামো পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া শনিবার বিকালে তিনি করিমগঞ্জের জাফরাবাদে আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি সেবার মনোভাব নিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান। রোববার বিকাল সোয়া তিনটায় হেলিকপ্টারযোগে রাষ্ট্রপাতি বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে ঢাকা রওনা হন।