রাজশাহী থেকে কাজী শাহেদ: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জোনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা পেট্রলবোমা হামলা চালিয়ে নাশকতা করেছে, তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। নাশকতা বন্ধসহ নাশকতাকারীদের আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত সারাদেশে বিজিবি মাঠে থাকবে। বৃহস্পতিবার সকালে ৩৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটেলিয়ান সেক্টর কমান্ডারের সেমিনার কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতা মোকাবিলায় র্যাব-পুলিশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিজিবি সদস্যরা কাজ করছে। বিজিবি মাঠে থাকায় দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। বেসামরিক প্রশাসন যতোদিন প্রয়োজন মনে করবে, ততোদিন তারা মাঠে থাকবে।
সীমান্তে হত্যা বন্ধ ও মাদক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বিজিবি মহাপরিচালক আজিজ আহমেদ বলেন, ভারতীয় বিএসএফ’র তুলনায় আমাদের বিজিবির সংখ্যা অনেক কম। সীমান্তে প্রতি ১২ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে বিওপি ক্যাম্প অবস্থিত। তবু অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিজিবি সদস্যরা সীমান্তে মাদক নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। সীমান্ত দিয়ে আগে যেভাবে ফেন্সিডিল আসতো এখন তা আর আসে না। ২০১৪ সালে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়া ৫৭৫ জনকে ফেরত আনা ও ১৫০ জন ভারতীয়কে ফেরত দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে সীমান্তে কোনো হত্যার ঘটনা ঘটলে বিএসএফকে তা লিখিতভাবে নিন্দা জানানো হয়। তবে বর্তমানে দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সম্পর্কের অনেক উন্নয়ন ঘটেছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, এ বছরের মধ্যে বিজিবির ৪টি নতুন ব্যাটালিয়নের কাজ শেষ হবে। আগামী বছর আরও ৪টি ব্যাটালিয়ন গড়ে তোলা হবে। দেশের প্রয়োজনে প্রতিবছর বিজিবির জনবল বাড়ছে।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রংপুর রিজিওনের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাহফুজুর রহমান, ৩৭ বর্ডার গার্ডের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল একেএম ফেরদাসুল সাহাব ও ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহজাহান সিরাজ।