শেরপুর থেকে হাকিম বাবুল: সাড়ে ১০ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শেরপুর জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। আগামী ৭ মে বৃহস্পতিবার ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার বুধবার রাতে সম্মেলনের ওই তারিখ নির্ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, দীর্ঘদিন পর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষিত হওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
দলীয় সূত্রগুলো জানায়, সম্মেলনের তারিখ ঘোষিত হলেও এবার দলের শীর্ষপদগুলোতে পরিবর্তনের তেমন সম্ভাবনা নেই। বর্তমান কমিটির নেতারাই স্ব-স্ব পদে বহাল থাকবেন। তাছাড়া সম্মেলনকে সামনে রেখে এখন পর্যন্ত বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বাইরে অন্য কোনও প্রার্থীর তৎপরতাও তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। তবে কিছু সম্পাদকীর পদে রদবদল এবং যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক কিছু নেতৃবৃন্দকে নতুন কমিটিতে স্থান দেওয়া হতে পারে এমন আলাপ-আলোচনা চলছে।
দলীয় সূত্রমতে, ২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে আতিউর রহমান আতিক এমপি সভাপতি ও অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর দু’দফায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন হলেও শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের কোনও সম্মেলন কিংবা কাউন্সিল অধিবেশন করা সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশনায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালের নেতৃত্বে জেলার ৫টি উপজেলা ও উপজেলার মর্যাদায় একটি পৌর/শহর কমিটির সম্মেলন শেষ করা হয়েছে। এরপর থেকেই জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীরা অপেক্ষার প্রহর গুণছেন।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল জানান, উপজেলা/থানার মর্যাদায় ৬টি ইউনিটের সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করার পর থেকেই আমরা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষ করার জন্য চেষ্টা করছি। এজন্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন এবং তার যোগাযোগের প্রেক্ষিতেই সম্মেলন অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ওই সম্মেলনে অতিথি কে কে থাকছেন-তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কিংবা উপদেষ্টামন্ডলীর অন্যতম সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথি এবং সাধারণ সম্পাদক এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ হোসেন উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা বিভাগের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারাও সম্মেলনে থাকার কথা রয়েছে। সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি সভাপতিত্ব করবেন।