মৌলভীবাজার থেকে আজিজুল ইসলাম: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের পালগ্রাম গ্রামের জসিম উদ্দিনের বাড়ি জবর দখলের উদ্দেশ্য সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও গৃহবধুর শ্লীলতাহানি করেছে। এ ঘটনায় কুলাউড়া থানায় অভিযোগ দায়েরের পরও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) ইউএনও বরাবরে আরেকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও হামলা করা বাড়িতে আদালতের ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।
কুলাউড়া থানায় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবরে দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকালে রাউৎগাঁও ইউনিয়নের পালগ্রামের দরিদ্র রাজমিস্ত্রী জসিম উদ্দিনের বসতবাড়ি জবর দখলের উদ্দেশ্যে একই গ্রামের আমিনুল ইসলাম মখই ও শফিক আলীর নেতৃত্বে ৩৫-৪০ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে জসিম উদ্দিনের বসতঘর ভাঙচুর করে। এ সময় জসিম উদ্দিনের স্ত্রীকে সন্ত্রাসীরা ঘর থেকে টেনে বের করে শ্লীলতাহানি করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। গৃহবধুর চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুলাউড়া হাসপাতালে এবং অবস্থার অবনতি হলে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জসিম উদ্দিন জানান, তিনি রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। ঘটনার সময় তিনি বাড়ির বাইরে কাজে ছিলেন। বাড়ি নিয়ে মৌলভীবাজার আদালতে প্রতিপক্ষের সাথে মামলা (পিটিশন নং ৩০৯ তাং ২৪/১২/১৪) রয়েছে। আদালত কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বিরোধকৃত বাড়িতে ১৪৪ ধারা জারি এবং কেন ২য় পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না ২৮ জানুয়ারির মধ্যে তার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
আদালতের নির্দেশে কুলাউড়া থানার এএসআই ৭ জানুয়ারি বাড়িতে ১৪৪ ধারা জারি করেন এবং একটি প্রতিবেদন জমা দেন। এমতাবস্থায় প্রতিপক্ষ হামলা চালানোর পর কুলাউড়া থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। ফলে তিনি নিরূপায় হয়ে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাজমুল হাসানের কাছে আরও একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মতিয়ার রহমান জানান, তাদের অভিযোগ তদন্তের জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।