কাউখালী (পিরোজপুর) থেকে রবিউল হাসান রবিন: পিরোজপুরের কাউখালীর চাঞ্চল্যকর অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন খান মাসুদ হত্যা মামলায় সাত জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে বরিশাল দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কাউখালীর কচুয়াকাঠি এলাকার বাসিন্দা সুলতান হোসেন খানের ছেলে কামরুল ইসলাম খান (৪০), স্বরুপকাঠীর সেহাংগল গ্রামের আব্দুর রব খানের ছেলে মনিরুল ইসলাম সেন্টু (৩৫), কচুয়াকাঠীর হেমায়েত উদ্দিন সিকদারের ছেলে আল আমিন সিকদার রনি, রাজাপুর উপজেলার দক্ষিণ নৈকাঠীর মিজানুর রহমান জমাদ্দার (৩৫), কাউখালীর পূর্ব আমরাজুড়ি বাসিন্দা মোদাচ্ছের আলী তালুকদারের ছেলে রেজাউল তালুকদার (২৫) এবং সোহরাব খান ও বাশুরীর মো. হানিফের ছেলে আজিজুল হক খোকন (২৬)।
এদের মধ্যে কামরুল ইসলাম খান, মনিরুল ইসলাম সেন্টু ও রেজাউল তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। বাকী ৪ আসামি পলাতক রয়েছে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিন জনকে খালাস দেওয়া হয়। এরা হলেন, শাখাওয়াত হোসেন তালুকদার তুহিন. নাজমুল হক মুরাদ ও মোর্শেদ জমাদ্দার।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২০০৯ সালের ১১ অক্টোবর টাকা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে পিরোজপুরের নেছারাবাদ সেংঙ্গল গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে অ্যাড. গিয়াস উদ্দিন খান মাসুদকে গুলি করে হত্যা করে দ-প্রাপ্তরা। পরে তার মৃতদেহ কাউখালী কচুয়াকাঠী বেইলী ব্রিজের কাছে থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় তার ভাই আল আমিন খান বাদী হয়ে কাউখালী থানায় কামরুলল ইসলাম খান, মনিরুল ইসলাম সেন্টু, রেজাউল ইসলাম, মুরাদ, মিজান ও ফোরকানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে চার্জসীটে আরো ৩জন অন্তর্ভুক্ত করে পুলিশ।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। আদালত ৩৭ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রোববার এ রায় ঘোষণা করেন।
পাশাপাশি যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম জাহাঙ্গীর হোসেন ও বাদী আল-আমিন খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।