ধর্ষণের শাস্তি সোয়া ২ লাখ টাকা !

শেরপুর থেকে হাকিম বাবুল: শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের শিমুলচুড়া আয়েশা কওমী মাদ্রাসার তের বছরের এক ছাত্রীকে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ও ফুলকার চর মসজিদের ইমাম হেলাল মিয়া (৪৫) ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনা জানাজানি হলে উত্তেজিত স্থানীয় লোকজন শুক্রবার ওই শিক্ষককে ধরে  ছাত্রীর বাড়িতে নিয়ে বেঁধে রাখে। রাতে সালিশ শেষে সোয়া দুই লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে হুজুরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিত্তশালী ওই শিক্ষক কয়েক বছর আগে নিজের জমিতে শুধু মেয়ে শিশুদের জন্য হেফজখানা স্থাপন করে সেটির নাম দেয় আয়েশা কওমী মাদ্রাসা। মাদ্রাসা দেওয়ার পর থেকেই ওই শিক্ষক কোমলমতি শিশুদের যৌন হয়রানী করে আসছিল। কিন্তু দরিদ্র বাবা-মা মান সম্মানের ভয়ে কাউকেই ঘটনা জানায়নি।

স্থানীয় সমাজ সেবক আরিফ মিয়া জানান, প্রায় ৬ মাস যাবত লম্পট হেলাল শিমুলচুড়া গ্রামেরই একটি হতদরিদ্র মেয়ের সাথে ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে শারিরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। শুক্রবার ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকার লোকজন হেলালকে বেঁধে রাখে। পরে তার ভাই সালিশী করে সোয়া দুই লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেয়।

সালিশীতে উপস্থিত ইউপি মেম্বার জহুর মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হেলাল হুজুরের ভাই মিষ্টার ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে নিজের মেয়ে বলে তার বিয়ের জন্য ২ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে বিষয়টি এলাকাবাসী মেনে নেয় এবং তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ঘটনা জানতে হেলাল হুজুরের সাথে যোগাযোগ করলে তার স্ত্রী ফোন ধরেন। এসময় তিনি বলেন, হুজুর বাইরে রয়েছে। পরে তার কাছ থেকে হেলালের ভাই মিষ্টার মিয়ার নম্বর নিয়ে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম বলেন, ঘটনা শুনেছি, তদন্ত করতে রাতে ওই এলাকায় যাবো।