বাগেরহাট থেকে বাবুল সরদার: বাগেরহাট-মংলা-মোল্লারহাট ও রূপসা জাতীয় মহাসড়কে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অবৈধ নসিমুন, করিমুন, আলম সাধু, ভটভটি ও মহেন্দ্র যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছে রূপসা-বাগেরহাট বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন। পুলিশ ও প্রশাসন যদি এক সপ্তাহের মধ্যে এ সমস্ত অবৈধ যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ না করে, তাহলে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটসহ নানান কর্মসূচির আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। শনিবার দুপুরে রূপসা-বাগেরহাট বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও রূপসা-বাগেরহাট আন্ত:জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ সভা শেষে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের সভাপতি এস.এম মোজাফ্ফর রশিদী রেজা। বক্তব্য দেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বিএম জাফর, সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান, মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. আকতার হোসেন খান, উপ-সাধারণ সম্পাদক এস এম এ তাহের, মো. ফরিদ হোসেন, মো. কুতুব উদ্দিন, আব্দুল কাইয়ুম, মো. আব্দুল গফ্ফার শেখ, মো. ফরিদ মোল্লা, শেখ আব্দুল মান্নান ও মো. গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। যৌথ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাট, মংলা, মোল্লারহাট, গৌরম্ভা, যাত্রাপুর, রামপাল ও রুপসা সড়ক ও মহাসড়কে পুলিশ ও প্রশাসনের উদাসীনতায় অবৈধ নসিমুন করিমুন ভটভটি ও মাহেন্দ্র গাড়ি দেদারছে চলছে। তারা আইনের তোয়াক্কা না করে সড়ক মহাসড়কে ইচ্ছামত গাড়ি চালানোর কারণে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। এ সমস্ত অবৈধ যাবাহনের নেই কোনও রুট পারমিট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্লু-বুক, ইন্সুরেন্স। তবুও পুলিশ ও প্রশাসনের কতিপয় ব্যক্তিকে মাসোহারা প্রদান করে এরা অবৈধ উপায়ে সড়ক মহাসড়কে চলাচল করছে অবাধে। শুধু তাই নয়, এই সমস্ত অবৈধ যানবাহনের কারণে প্রতি বছরে শতশত যাত্রী আহত ও নিহত হলেও কোন যাত্রী ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না।
সুত্র মতে, কিছু লোহারপাত টিন ও অন্যান্য যান্ত্রাংশ দিয়ে যেনতেনভাবে নছিমুন করিমুন তৈরি করা হয়। আর তার উপর একটি পানি সেচ মেশিন বসিয়ে যন্ত্র দানবটি তৈরি করে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী তারা বিকট শব্দে কালোধূঁয়া ছেড়ে মহাসড়ক দাপিয়ে চলাচল করছে। এদের ব্যাক লাইট, ব্রেক, স্টিয়ারিং-সহ দ্রুত গতিরোধ করার মত ক্ষমতা না থাকার কারণে সহজেই দুঘর্টনার কবলে পড়ে। সে সময় যাত্রীরা আহত বা নিহত হলেও তাদেরকে মালিক ও চালক পক্ষ থেকে কোনও ক্ষতিপূরণ দিতে হয়না।
অবৈধ নছিমুন, করিমুন, ভটভটি, ইজিবাইক ও মহেন্দ্র গাড়ি সড়ক মহাসড়কে চলাচল বন্ধের বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টের একটি নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। কিন্তু সে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এ ধরনের যানবাহন চলাচল অব্যাহত রয়েছে। যে কারণে প্রকৃত বাস-মিনিবাস মালিক ও চালকরা যাত্রী না পেয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছেন বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।