সীমান্ত হাট ও মো. কোর্ট বাড়িয়ে চোরাচালান রোধ সম্ভব-বিজিবির মহাপরিচালক

দিনাজপুর থেকে রতন সিং: বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী এবং সাংবিধানিক দায়িত্বের অংশ হিসেবেই বিজিবি জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করছে। মোট জনবলের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বিজিবি সদস্য এই দায়িত্বে রয়েছে।

শনিবার বেলা ১১টায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র দিনাজপুর কুঠিবাড়ী সেক্টর সদর দপ্তরে শহীদ কর্ণেল গুলজার হল প্রাঙ্গণে স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ দৃঢ়তার সাথে এই কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, সীমান্তে অযাচিত ও অনাকাঙ্খিত হত্যা বন্ধে সব ধরনের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। এই ধরনের হত্যাকা- কোনও ভাবেই কাম্য নয়। আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি মেনেই বিজিবি দায়িত্ব পালন করে আসছে। সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধে আমরা সব সময় জোরালো ভূমিকা রেখে আসছি। তিনি বলেন,  কোনও বাংলাদেশী যেন গরু আনতে বা অন্য কোন অসৎ কাজে সীমান্ত অতিক্রম না করেন সে জন্য ব্যাপক গণসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

সাংবিধানিক দায়িত্বের অংশ হিসেবেই ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বিজিবি সদস্য জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিয়ে আসছে। বিজিবি’র মূল দায়িত্ব সীমান্ত রক্ষায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ সদস্য সব সময় নিয়োজিত রয়েছেন। আমরা সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে বা হাতিয়ার হিসেবে কখনই কাজ করছি না। অর্পিত দায়িত্বের অংশ হিসেবেই বিজিবির সকল সদস্য সজাগ ও নিষ্ঠার সাথে দেশ রক্ষায় নিয়োজিত থেকে কাজ করছেন।

অত্যাধুনিক মেশিনের মাধ্যমে আমদানি পণ্যের মধ্যে অস্ত্র পাচারের ঘটনা প্রতিরোধে সরকারের আর্থিক সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এসব মেশিনের দাম প্রচুর। তারপরেও সরকার বিজিবিকে ১৭টি মেশিন দেওয়ার ব্যাপারে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন। সীমান্ত হাট বসানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ৬টি সীমান্ত হাট চালু রয়েছে। এই সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সীমান্ত হাটের সংখ্যা বাড়লে চোরাচালানী অনেকটা রোধ হবে। এর পাশাপাশি মোবাইল কোর্টের সংখ্যা বৃদ্ধি করে তাৎক্ষণিক কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করা হলে চোরাচালানী তৎপরতা রোধ করা সম্ভব বলে বিজিবির মহাপরিচালক মন্তব্য করেন।

এর আগে বিজিবির মহাপরিচালক দিনাজপুর সেক্টরের সৈনিক ও কর্মকর্তাদের সাথে দরবারে মিলিত হন। অনুষ্ঠানে রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. আব্দুর রাজ্জাক তরফদার এসি, দিনাজপুর ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ জামাল হোসেন এএসসি, অতিরিক্ত পরিচালক (অপারেশন) মেজর এ এস এম রবিউল হাসান এবং অতিরিক্ত পরিচালক মেজর আব্দুল হান্নান খান উপস্থিত ছিলেন।