দিনাজপুর থেকে রতন সিং: দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সংঘর্ষে জোড়া হত্যার মামলা ২০ ঘন্টায় রেকর্ড করেনি দিনাজপুর কোতয়ালী পুলিশ। তদন্ত কাজ শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি।
বৃহস্পতিবার রাতে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সশস্ত্র সংঘর্ষে দুই ছাত্র নেতা মিল্টন ও জাকারিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় হাবিপ্রবি’র প্রক্টর প্রফেসর ড. এটিএম শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে শুক্রবার রাত ৮টায় দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু ২০ ঘন্টায় থানায় উক্ত এজাহার রেকর্ডভুক্ত করা হয়নি। এ ব্যাপারে শনিবার বিকেল ৪টায় কোতয়ালী থানার ওসি খালেকুজ্জামান পিপিএম জানান, মামলা এখনও রেকর্ড করা হয়নি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এজাহারে হাবিপ্রবি’র ছাত্রলীগের সভাপতি ইফতেখারুল ইসলাম রিয়েল ও সাধারণ সম্পাদক বহিস্কৃত ছাত্র অরুন কান্তি রায়সহ ছাত্রলীগের ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা আরো ৩০/৩৫ জনকে আসামি করে প্রক্টর শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলার জন্য এজাহার পেশ করেন। এজাহারে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়েছে বলে বলা হয়। এজাহারে অভিযোগ করা হয় ছাত্র নেতা রিয়েল পিস্তল দিয়ে প্রতিপক্ষ আল আমিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করলে ডান হাতে সে গুলিবিদ্ধ হয়। আসামিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান মিল্টন ও মো. জাকারিয়াকে অমানবিকভাবে পিটিয়ে হত্যা করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
সংঘর্ষে জোড়া হত্যার ঘটনা তদন্তে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. আনিস খান বলেন, রোববার ১৯ এপ্রিল থেকে তদন্ত কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে শনিবার থেকেই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন জানান, নিহত দুই ছাত্র নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করবেন বলে তার কাছে বলা হয়েছে। এ কারণেই মামলা রেকর্ড করতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে।