সরকারের দ্বৈত নীতির কারণে মিল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন

ঈশ্বরদী (পাবনা) থেকে স্বপন কুমার কুন্ডু: পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা চাউল কল মালিকদের বার্ষিক সাধারণ সভা ও উন্নতধান সিদ্ধকরণ পদ্ধতি বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা সরকারের চাল আমদানি ও রফতানি নীতির সমালোচনা করে বলেছেন, সরকারের দ্বৈতনীতির  কারণে উত্তরাঞ্চলের প্রধান চালের মোকাম ঈশ্বরদীর শত শত চাতাল আজ ধ্বংসের পথে। চাল ব্যবসায়ীরা লোকসানের মধ্যে পড়ছেন।

শনিবার ঈশ্বরদী আইকে সড়কের জয়নগরে আব্দুল আজিজ রাইস মিল চত্তরে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি ফজলুর রহমান।

এতে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মাহজেবিন শিরীন, সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম মাহবুবুর রহমান, উন্নত ও পরিবেশসম্মত বয়লার প্রযুক্তি জিআইজেড বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডেভিড হ্যানকক, বাংলাদেশ অটো-মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে এম লায়েক আলী, ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আনিসুন্নবী বিশ্বাস, মানবাধিকার কমিশনের আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি শহিদুজ্জামান নাসিম, উপজেলা চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি  খায়রুল ইসলাম, ব্যবসায়ী শামসুল আলম, প্রমূখ। মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুলমত হায়দার সভা পরিচালনা করেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বিশ্বাস সরকারের খাদ্য নীতির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, সরকার একদিকে বিদেশে চাল রফতানি করছে, অন্যদিকে বিদেশ থেকে চাল আমদানিও করছে। সরকারের এই দ্বৈত নীতির কারণে হাসকিং মিল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। তিনি সরকারের এই দ্বৈত নীতি পরিবর্তনের জন্য চাল ব্যবসায়ীদের আন্দোলন করার পরামর্শ দেন।

সেমিনার ও বার্ষিক সাধারণ সভায় দেশের কয়েকটি জেলা হতে চাল ব্যবসায়ী ছাড়াও ঈশ্বরদীর ৬শ চাতাল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সভা চলে।