গফরগাঁওয়ে কালবৈশাখীতে দু’শতাধিক ঘর বিধস্ত, ফসলহানি

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) থেকে আতাউর রহমান মিন্টু: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের  ওপর দিয়ে শনিবার বিকেল ও মধ্যরাতে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীর আঘাত ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, গাছপালা, ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।  ঝড়ে উড়ে আসা গাছপালা ও টিনের আঘাতে অন্তত ৪০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

Gafargaon pic-1
কালবৈশাখীর আঘাত ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ির ক্ষতি

শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ৪৫ মিনিটব্যাপী বয়ে যাওয়া ঝড়ের সময় উপজেলার পাগলা থানার টাংগাব, নিগুয়ারী, দত্তেরবাজার  ইউনিয়নে উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসহ অর্ধশতাধিক ঘর বিধস্ত ও ২ শতাধিক ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রাত ১২টার দিকে পৌরশহরসহ উপজেলার সালটিয়া, চরআলগী, গফরগাঁও,বারবাড়িয়া, রাওনা, পাগলা থানার পাঁচবাগ ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ আরও দেড় শতাধিক ঘর বিধস্ত হয়। উপড়ে গেছে কয়েক হাজার গাছপালা।

ঝড়ে বিভিন্ন সড়কের উপর গাছ উপড়ে পড়ায় যানচলাচল ব্যহত হয়। ঝড় শুরুর পর উপজেলায়  বিদ্যুৎ সরবারহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঝড়ে  ঘরহারা সহস্রাধিক মানুষ খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে ফসলের সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে টাংগাব, দত্তেরবাজার, রাওনা ও নিগুয়ারী ইউনিয়নে।

Gafargaon pic-2
কালবৈশাখীর আঘাতে টিনের চাল গাছে

কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার ২ হাজার ৬শ হেক্টর জমির বোরো ধান, ৯০ হেক্টর জমির শাকসবজি, ৩০ হেক্টর জমির ভূট্টা, পাট, পানের বরজ ও আম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজসহ অন্যান্য ফল  নষ্ট হয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিলাবৃষ্টি কৃষকের স্বপ্নের ধান ক্ষেতগুলো মাটির সাথে শুইয়ে দিয়েছে। আঙ্গারী  গ্রামের  বর্গাচাষি আঃ বারিক জানায় সে প্রায় দেড় একর জমিতে বোরো ধান চাষ করেছিল। তার আশা ছিল কমপক্ষে সে ১শ ২০ মন ধান মাড়াই করতে পারবে। এখন সে ১০মন ধানের আশাও করে না। পৌর শহরের ব্যবসায়ী মা ফুড প্রোডাক্টসের মালিক নাজমূল হক বিপ্লব জানায়, ঝড়ে তার কারখানা বিদ্ধস্ত হয়ে প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন।