গাজীপুরের শ্রীপুরে অপহৃত চার বছরের শিশু শেরপুরে উদ্ধার

শেরপুর থেকে হাকিম বাবুল: গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থেকে অপহৃত চার বছর বয়সী এক শিশুকে ২০ এপ্রিল সোমবার সকালে শেরপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত শিশু শুভ মিয়া (৪) গাইবান্ধা জেলার গিদালী গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় অপহরণের সাথে জড়িত সাহেরা বেগম নামে এক মহিলাকে পুলিশ আটক করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সবুজ মিয়া এবং তার স্ত্রী গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বেতজুড়ি এলাকায় একটি গার্মেন্টসে শ্রমিকের কাজ করেন এবং সেখানেই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন। সেখানে তাদের প্রতিবেশী আরেক গার্মেন্টস কর্মী সাহেরা বেগমের সাথে তাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এর জের ধরে গত ৪ দিন আগে সাহেরা বেগম সবুজ মিয়ার চার বছর বয়সী শিশুপুত্র শুভ মিয়াকে অপহরণ করে শেরপুর নিয়ে আসে এবং শেরপুর শহরে তার এক আত্মীয়ের বাসায় রাখে। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় মামলা হলে রবিবার রাতে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাহেরা বেগমকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শেরপুর সদর থানা পুলিশের সহায়তায় সোমবার সকাল আটটার দিকে শহরের অস্টমীতলা এলাকার পুলিশ লাইন সংলগ্ন নূরুল ইসলামের বাসা থেকে অপহৃত শিশু শুভ মিয়াকে উদ্ধার করা হয়। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ বাসার মালিক নূরুল ইসলামের স্ত্রীকে সদর থানায় নিয়ে গেলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে নূরুল ইসলাম বলেন, আমি তবলীগ জামায়াতে ছিলাম। সোমবার সকালেই আমি বাড়ি এসেছি। এর সাথে আমাদের পরিবারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি জানান, আমি তবলীগ জামায়াতে থাকার সময় বাড়িতে কেবল আমার স্ত্রী ছিল। তার কাছ থেকে শুনেছি, তিনদিন আগে আমাদের পূর্ব পরিচিত আত্মীয় সম্পর্কিত সাহেরা খাতুন দীর্ঘদিন পর এখানে আসে। সে গার্মেন্টসে কাজ করতো জানতাম। সে ওই শিশুটিকে নিজের ছেলে দাবি করে স্বামীর সাথে তার ঝগড়া হয়েছে উল্লেখ করে আমার স্ত্রীকে বলেছে দুই-তিন দিন ছেলেটিকে সে এখানে রাখতে চায়। সরল বিশ্বাসে স্ত্রী তার ছেলেকে থাকতে দিয়েছে। কিন্তু সোমবার বাড়িতে পুলিশ আসলে প্রকৃত ঘটনা বেড়িয়ে আসে। তিনি বলেন, সাহেরা আমার পরিবারকে ব্ল্যাকমেইল করেছে। পুলিশকে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছি।

এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সজিব মিয়া বলেন, অপহৃত চার বছর বয়সী শিশু শুভকে উদ্ধার করে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক মুজিবুর রহমান তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছেন। অপহরণ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে সাহেরা বেগমকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে।